অভিলাষা দাশগুপ্ত আদক







একটুকরো কাঠ



রাস্তার ধারে পড়েছিল একটুকরো কাঠ,
হয়ত কোনকালে সবুজ পাতা, কুঁড়িতে শোভিত হত,
কিংবা হয়ত কোন বৃক্ষের মজবুতিতে কাজে লাগতো,
কিন্তু এখন শুধুই একটুকরো কাঠ,
কামারশালের পথচলতি ছোকরা কাঠটা তুলে নিল,
হয়ত কোন যন্ত্রের হাতল বানাবে, কিন্তু নিল না।
কাঠের টুকরোটা খুব পলকা।
বানামাঝির ছেলে টুকরোটা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল,
ডাংগুলি কি গুলতি বানানো যাবে কিনা,
কিন্তু নিল না।কাঠের টুকরোটা খুব বেঢপ।
পাতাকুড়ুনি মেয়ে ক্ষেন্তি টুকরোটা তুলে ঝোলায় রাখলো, ভাবলো,
আগুন জ্বালাবে, তখনই নেড়ি কুকুরটা এমন ডেকে উঠলো,
যে হাতে রাখা কাঠের টুকরোটা ওর দিকে ছুঁড়ে মারলো ক্ষেন্তি।
কুকুটা পালালো কিন্তু কাঠের টুকরোটা ছিটকে এসে পড়ল
শিবুমাস্টারের পায়ের কাছে।বাহ বেশ কাটুম কুটুম হবে তো!
কাঠের টুকরোটা জায়গা করে নিল শিবুমাস্টারের লেখার টেবিলের ধারে।
মিমিদিদা,শিবুমাস্টারের মা, উল গুটিয়ে রাখলো কাঠের টুকরোটার গায়ে,
সোয়েটার বোনা শেষ হতে খুকি ওটা কাঁচের চুড়ি রাখার স্ট্যান্ড বানালো,
তাই দেখে কাঁচের চুড়ি নিয়ে আস্ত কবিতা বানালো আমাদের ভুলো কবি।
তারপর, অনেকদিন কোন খবরে ছিল না সে,
আজ সকালে সিঁড়ির নীচে ভাঙ্গা জিনিষপত্র রাখার জায়গায় দেখি
খুকির লাল নীল কাঁচের চুড়ি
একরাশ কাঠরঙ ধূলোয় মাখামাখি হয়ে পড়ে আছে ।
বাড়ীতে বড় ঘুণপোকার উপদ্রব বেড়েছে।

- কলকাতা - 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.