মৌ দাশগুপ্তা




১৫ই আগস্ট.  ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দিবস, এ দিনটি শুধু ক্যালেন্ডারের পাতার কোনো জ্বলজ্বলে লাল তারিখ নয়, নয় কেবল শেষ শ্রাবণের আলসেমিমাখা ছুটির একটি দিন, বছরের একটি মাত্র দিন হলেও ভারতবাসীর দেশপ্রেম, অবিরাম সংগ্রাম এবং সংহত শক্তিরও প্রতীক এ দিনটি। 

স্বাধীনতা অর্জনে নয় নয় করেও ৬৭ বছর পেরিয়ে এলো আমাদের মাতৃভুমি।স্বাধীনতা অর্জনের এই সাদা চামড়ার বিদেশি মানুষের বিরুদ্ধে দেশি মানুষের সংগ্রাম।সে সংগ্রাম ছিল শক্তিশালীর বিরুদ্ধে দুর্বলের, শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের, পরাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার।পদার্পন করলো ৬৮তম বর্ষে। দিল্লীর মসনদে মোগলসাম্রাজ্যের পতনের পর বিদেশী শক্তির হাতে প্রায় দু’শো বছর পরাধীন থাকার পর এই যে ইংরাজ শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলাম… কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন তো আসেই। আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল প্রধানত আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সঙ্গে গণতন্ত্রের যোগাযোগ ওতপ্রোত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছিল গণতন্ত্রের আকাঙ্খা। তা ছাড়া এ পর্যন্ত প্রায় সকল পণ্ডিতই একই রকম অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, গণতন্ত্র ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি অসম্ভব ব্যাপার। এ দেশের মানুষ অনেক আত্মদান, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা তো অর্জন করল ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট। পতাকা বদল হলো, ইউনিয়ান জ্যাকের বদলে উড়লো তেরঙ্গা। আমরা সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে অখন্ডতা খুইয়ে স্বাধীনতা পেলাম। দেশভাগ হল, দু’ দুটো নতুন দেশ হলো।   কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আরেক,আজ যুগ বদলেছে, স্বাধীন হয়েছে ভারতবর্ষ। কিন্তু সে আজ ভুগছে মানবিকতার সঙ্কটে যা থেকে সৃষ্টি হচ্ছে স্বাধীনতার সঙ্কট। যা আরও অনেক জটিল আর ভয়ংকর।অতএব এখন প্রশ্ন উঠছে এখন দেশের এই তথাকথিত  স্বাধীনতাটা ধরে রাখা যাবে কিভাবে? 

দেশ ভেঙে যাওয়ার পেছনে আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের বাইরেও অনেক বিষয় ছিল। তবু ভাঙা দেশেই আনন্দে উদ্বেলিত হলো দেশের মানুষ।যা বলছিলাম, দেশভাগের প্রথম কারণের ভিত্তি ছিল অর্থনৈতিক । সে সময়কার বিপ্লবী রাজনীতিকরা গোটা দেশব্যাপী একটা গণতান্ত্রিক বিপ্লব হোক এটা চেয়েছিল। অর্থাৎ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক এটিই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। অথচ সদ্য স্বাধীন ভারতে তখন  ক্যাপিটালিস্ট ডেভলেপমেন্টের ফর্মূলা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।ফলে তখন দেশের অর্থনীতিতে ক্যাপিটালিজম বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয় । ক্যাপিটালিজম শিল্পায়নের জন্য কৃষিকে শোষণ করে থাকে। আর তখন এটি শিল্প এবং কৃষির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব হিসেবে এবং গ্রাম ও শহরের মধ্যে দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখা দেয়। বিষয়টি এ রকম যে, তখন দিল্লী উন্নত শহর হিসেবে গড়ে উঠছে, কর্ণাটক, পাঞ্জাবে শিল্পায়ন হচ্ছে, পাঞ্জাব হরিয়ানা, ইউ পি তে কৃষিতে আধুনিকীকরণ হচ্ছে অথচ দেশের উত্তর পূর্বভাগে তখন কিছুই হচ্ছে না। 

একটা সাধারন উদাহরন দিয়ে ব্যাপারটা বোঝানো যাক। এই দেশীয় সম্পদ বিকেন্দ্রীকরন ও সামাজিক, রাজনৈতিক অবহেলার প্রসঙ্গ তুলে উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সাতবোন’ বা ‘সেভেন-সিস্টার্স’ রাজ্যের (নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও অরুণাচল) প্রেক্ষাপটে নাগারাই প্রথম বিদ্রোহ করে।  ১৯৪৭ সালের জুন মাসে পতিষ্ঠিত নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিল (এনএনসি)-এর উদ্যোগে ১৯৫১ সালের মে মাসে নাগা জনপদে একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ গণভোটের মাধ্যমে নাগা স্বাধীনতার পক্ষে সম্পূর্ণ সমর্থন প্রকাশিত হয়। এদিকে নাগাল্যান্ড সমস্যার পাশাপাশি চাষাবাদ পদ্ধতির আধুনিকায়নের অভাবে ভূমির উর্বরতা হ্রাস, ও পাহাড়ি এলাকায় দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মিজো পার্বত্যাঞ্চলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়। ১৯৫৯ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ-এ অঞ্চলের তীব্র অসন্তোষকে এক সন্ত্রাসী মাত্রা দেয়। দুর্ভিক্ষের আগমন সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেয়া সত্ত্বেও সরকার ও প্রশাসনের তরফ থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে অবহেলা দেখানো হয়েছে বলে মিজোরা অভিযোগ করে। ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মুখে মিজো নেতা লালডেঙ্গা ‘মিজো ন্যাশনাল ফেমিন ফ্রন্ট’ বা এমএনএফএফ গঠন করেন। ১৯৬৩ সালে দুর্ভিক্ষ শেষ হলে এমএনএফএফ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ বা এমএনএফ নাম ধারণ করে এবং আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে প্রচারণা চালায়। 

পরবর্তী সময়ে এ সংগঠন ক্রমবর্ধমান ভারতীয় অবহেলা ও নির্যাতনের মুখে স্বাধিকারের দাবিতে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। এ থেকে স্বাধীনোত্তর ভারতের  রাজনীতির মেরুকরন, দেশীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরন, ক্ষমতার কুক্ষীকরন এরং শাসকদলের ক্ষমতার অসম সমীকরনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যা গনতান্ত্রিক ভাবধারার পরিপণ্থী। দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খা আর চেতনাও হতে থাকে ভিন্ন। তখন থেকেই কেবলমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতের ‘সাতবোন’ বা ‘সেভেন-সিস্টার্স’ নয়, ভারতের বিভিন্নপ্রান্তে দেশীয় সম্পদ বিকেন্দ্রীকরণ, রাজনৈতিক ক্ষমতায় কুক্ষীকরন,বিচ্ছিন্নতাবাদের জাগরন শুরু হয়। তাদের এই স্বতন্ত্র জীবনবোধের কারণে শুরু হয় দেশের প্রথম জাতীয় সমস্যা। অর্থাৎ সেভাবে দেখতে গেলে আমাদের স্বাধীনতার ঠিক পরপরই প্রথম জাতীয় সমস্যা ছিল মূলত আমাদের নতুন আত্মপরিচয়ের অনুসন্ধান; যার মধ্যে ভাষা, সংস্কৃতি-এ প্রশ্নগুলো ছিল। 

স্বাধীনোত্তর ভারতের দ্বিতীয়  বিপদ হয়ে এসেছিল পশ্চিমী ভোগবাদ, আরও স্বাচ্ছ্বন্দ্য, আরও আরাম, আরও বিলাসি দিনযাপন। আরও টাকা, আরও টাকা চাই, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একই চাহিদা,তাই সবাই চায় সবাইকে ঠকাতে। আর এই ঠকানোর জুয়া চুরিতে অল্পবিস্তর  ঠকতে হয় সব্বাইকে। বিক্রেতা  ঠকায় খদ্দেরকে।ডাক্তার ঠকায় রোগীকে, ব্যাপারটা চক্রাকারে পরিবৃত্ত হয়। যে ঠকায় সে নিজেও কিন্তু ঠকে। তবু এর বিরাম নেই। সমাজের সর্বস্তরের লোক এই ইঁদুরদৌড়ে সামিল হয়। সেভাবে দেখতে গেলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা বা পুলিশ তাদের চরিত্র হারাননি, চারিত্রিক ভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন দেশের আমজনতাও। প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে ভোগবাদ আর দুর্নীতি।কৃষক, শ্রমিক, চিকিৎসক,  শিক্ষক,  ঠিকে ঝি, জমির দালাল, ইঞ্জিনিয়ার, পলিটিশিয়ান- সবার চরিত্র সমান। সবাই-ই দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এখানেই শুরু স্বাধীনোত্তর ভারতের দ্বিতীয় সমস্যাটা ।যে ভারত পৃথিবীকে শুনিয়েছিল উপনিষদের শান্তির ললিত বাণী- ‘ত্যক্তেন ভুঞ্জিথ্যা’, তার এই নৈতিক অবনমন সত্যিই অকল্পনীয়। পশ্চিমী হালকা ভোগবাদ সম্পূর্ণ গ্রাস করেছে ভারতের গোটা সমাজটাকে।

ইতিমধ্যে দেশে রাজনৈতিক অবস্থানেরও পরিবর্তন ঘটেছে।একদলীয় শাসনব্যবস্থার বদলে চালু হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মর্যাদা ও কর্তৃত্বের সাথে দেশ পরিচালনায় এগিয়ে এসেছে। দেশের মানুষও ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে  বিপুল কর্মোদ্যম নিয়ে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, খাদ্য ক্ষেত্রে অভাবনীয় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রয়াস চলছে সমস্ত দেশ জুড়ে। যে ইউরোপিয়ান গোষ্ঠী সদ্য স্বাধীন ভারতকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে হাস্য পরিহাস করত, তারাই ভারতকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপিং বলে, অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে অভিহিত করতে শুরু করেছে ।অর্থাৎ মন্দার বাজারেও, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে  অব্যাহত রাখা গেছে। আর সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছে তৃতীয় সমস্যা। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ার সাথে সাথে রাজনীতিকরা নিজের কোলে ঝোল টানার নোংরা খেলায় দেশের স্বার্থ ভুলে ব্রতী হয়েছেন ব্যাক্তিগত পুঁজিবাদের সাধনায়। জনগণের কাছে ভোটের জন্য যেতে হবে, সে কথা মনে না রেখেই একের পর এক অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে গেছেন। ফলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নেই।  ডিজেল-পেট্রলের দাম, তেল ও গ্যাসের মূল্য দফায় দফায়  বৃদ্ধি করা হচ্ছে।  কৃষি উন্নয়নের হার হ্রাস পাচ্ছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে বহুলাংশে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে বর্তমান শাসকরা জণগণের কথা ভাববার সময়ই দিতে পারছেন না। দেশের একটি বৃহৎ অংশের মানুষের আয়-রোজগারের মাধ্যম পুঁজিবাজার একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে। বিনিয়োগ গেছে কমে। শিল্পায়নের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা সবাই। দেশ, জাতি ও ঐতিহ্য রক্ষার ব্রত থেকে সরে এসে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার হীন মানসিকতা চরম নিচতা প্রদর্শিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। 

এর পরবর্তী পর্য্যায়ে রয়েছে শিক্ষাব্যাবস্থার দূর্নীতি, শিক্ষা থেকে চাকরী সর্বস্তরে স্বজনতোষণ, দেশীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরন, অপুষ্টি ও শিশুমৃত্যু, নারী নির্য্যাতন, শিশুশ্রম, আরো কত বলব?

মুশকিল হল দেশের সাধারন জনতা, যাদের হাতে রয়েছে ভোটাধিকার, যারা কৃষক শ্রমিক শিক্ষক প্রযুক্তিবিদ চিকিৎসক ,তারা কিন্তু এই জাতীয় অবনমনকে  মনে করেন শাসক দলের ব্যর্থতা।স্বাধীনোত্তর ভারতে কমবার শাসকদলের পরিবর্তন হয়নি। প্রতিবারই গনতান্ত্রিক পথে ভোটে জিতে আসা শাসক দলকে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা ভাবতে হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবতে হয়েছে। ডিজেল-পেট্রলের দাম বাড়াতে দশবার ভাবতে হয়েছে। কৃষি উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিতে হয়েছে। তবুও বিগত দশকগুলিতে দ্রব্যমূল্য তো শুধু অসহনীয় নয়, জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে পৌঁছে গেছে। তেল ও গ্যাসের মূল্য দফায় দফায়  বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে বর্তমান শাসকরা জনগণের কথা ভাববার সময়ই দিতে পারছেন না। দেশের একটি বৃহৎ অংশের মানুষের আয়-রোজগারের মাধ্যম পুঁজিবাজার একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে। বিনিয়োগ গেছে কমে। শিল্পায়নের পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। পিছিয়ে যাচ্ছি আমরা সবাই।

এরপরও সবাই ভাবছেন শাসক দলটি বদলালেই যেন সব কিছু ম্যাজিকের মত বদলে যাবে।আবার রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। ফলে সবাই একই কথা নীরবে বা সোচ্চারে বলে থাকেন যে, পরিবর্তন, পরিবর্তন চাই। কিন্তু কি পরিবর্তন? তা কেউই বোধহয় সঠিকভাবে বলতে পারবেন না। সাধারন ভোটদাতাদের অধিকাংশই দুর্নীতিগ্রস্থ থাকবে, কিন্তু তাদের ভোটে নির্বাচন জিতে আসা নতুন শাসক দলের প্রতিটি সদস্য হবে ধোওয়া তুলসী পাতা। সোনার পাথর বাটি !! কিন্তু আসলে তো পরিবর্তনটি দরকার শাসক দলের নয়, জনগণের নিজেদের চরিত্রের। কেননা, ভোটশক্তিতে পেশীশক্তিতে কি টাকার জোরে যেভাবেই হোক না কেন আসলে সেই আম জনগণের মধ্যে থেকেই তো কেউ না কেউ নেতা হন। সেই আম জনগণের চরিত্রই যদি কালিমা যুক্ত এবং ভোগ বাদে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়, তবে যিনি নেতা- তিনি শাসক বা বিরোধী যে দলেরই হন না কেন , তিনি তো দুর্নীতিগ্রস্থ হবেনই। তিনি তো চুরি-চামারি, ডাকাতি, ধর্ষণ, রাহাজানি করবেনই, তিনি তো দেশটাকে বিক্রির ব্যবস্থা করবেনই। এতে অবাক হবারই বা কি আছে, হতাশ হবারই বা কি আছে?

      যতদিন না ভারতবর্ষের সাধারন মানুষ নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন, যতদিন না নিজেদের শোধরাতে পারবেন, যতদিন না নিজের আর নিজের পরিবারের সাথে এক ভাবে দেশের কথাও ভাবতে শিখবেন,যতদিন না শুদ্ধ বিবেকবোধে পরস্পরকে ঠকানোর জুয়োচুরি বন্ধ করে পরস্পরের সহাবস্থানে বিশ্বাসী হবেন, তত দিন পর্যন্ত যতই শাসক শ্রেণির বদল হোক, গণভোট হোক, কোনও পরিবর্তন হবে না, চলতে থাকবে, চলতেই থাকবে এই মানবিকতার সঙ্কট তথা স্বাধীনতার সঙ্কট।
- কলকাতা - 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.