
কবি পরিচিতি
ভারতবর্ষ

পুরুলিয়া স্টেশনে ট্রেন থামলো সিগন্যালে
খোলা জানলা দিয়ে দেখলুম তোমাকে
ব্যাস্তভাবে খুঁজছ যেন কাকে ...
কালো পায়ে খুঁজবে নাকি একাই
সবুজ পৃথিবী ?
কী অবহেলায়
খানকয়েক পলাশ ফুটেছে শরীরে
ছড়ানো অরণ্য
পরিচিত দুটি পাথর
আর মহুয়ার ঝর্ণা
সব বন্দী অতটুকু আঁচলে
এক টুকরো বৃষ্টি ঠোঁটে নিয়ে দৌড়ে এলো একটা নদী
চিকন ত্বকে দিগন্ত লিখল
খড়কুটো রঙের মেঘচিঠি ...
এদিকে আমি পাচ্ছি ভয়
বিপজ্জনকভাবে দুলছে রেলব্রিজ ...
চুপচাপ শাড়ীর আড়ালে
ঠোঁটের রেখায় কী বিধ্বংসী মাইন পাতা আছে নাকি নাভির গভীরে ?
তাকালে আমার দিকে
অযোধ্যা পাহাড় কেঁপে উঠলো বিস্ফোরণে
আচমকা ঝাঁকুনিতে পিঠের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো
শাল সেগুনের জঙ্গল
আবাক হয়ে দেখলুম এতটুকু ক্লোরোফিল নেই শরীরে ...
একটা নদী পেরিয়ে আরেকটা নদী
একটা আকাশের ভেতর দিয়ে আরেকটা আকাশ
এই তাহলে তোমার শস্যহীন মাঠ
রুক্ষ মাটির মানচিত্র ।
কতদিন তুই ভাত খাসনি মেয়ে ?
এত খিদে তোর পেটে ...
এক থালা চাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে
তোকে যে আমার আবছা ধানক্ষেতের মত লাগে ...
তোর গোড়ালি বেয়ে
গড়িয়ে পড়ছে অসহায়
ক্ষুধা তৃষ্ণা রক্ত জরায়ু
ওরে কালো মেয়ে
ভুল বুঝিস না আমাকে
ভালবেসেছি তোকে
ধুলো শরীরে তুই যে আমার
আসল ভারতবর্ষ ...
- কলকাতা -
সুচিন্তিত মতামত দিন