রত্না ঘোষ



দেওয়ালের  দিকে পাশ ফিরে শুল রঞ্জন বেশ তৃপ্ত শরীর মন নিয়ে । আবেশটা মাখতে মাখতেই ঘুমাবে মনে করল । কিন্তু উল্টো দিকে মুখ করে কি রিনি কি কাঁদছে ! বুঝতে পারছে না অন্ধকারে । সবেতেই ন্যাকামো, যত বাহানা রাতে আমার কাছে, সারাদিন হাজারো পরিশ্রম করে মরছি ওনার জন্য, আর আমার ইচ্ছে অনিচ্ছে র কোন দাম নেই ওর কাছে । কোন ইচ্ছে টা আমি পুরন করছি না আমি ওর, আর আমার বেলাতেই... । যখন যেটা চায়  শাড়ি গয়না , আজ কাল আবার নতুন ফ্যাশান জিম পার্লার শরীর সুন্দর আর ফিট রাখতে হবে, তা  রাখ, কিন্তু কার জন্য ? আমি কাছে ডাকলেই ক্লান্তি, তাই আজ একটু জোর করতে হয়েছে ।  না কি অন্য কাউকে... , দূর এই সব ভাবতে ভাবতেই গোটা আবেশটা মাটি  হয়ে গেল । পাশ ফিরে একবার পিঠে হাত দিয়ে ডাকল রিনি, ঘুমালে না কি ...

না বল,
তুমি কি কাঁদছ ?
না তো, কেন ?
না, মনে হল তাই বলছি।
তুমি কি আবার ও সব মন মন নিয়ে ভাবছ না কি ?
না,  আর ভাবতে ও চাই না।

মনে রেখো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গেলে উভয়ের ইচ্ছে ই মানতে হয়। আমি তোমার কোন ইচ্ছেটা পুরন করি না বল তো ? তাহলে কেন আমার কথা শোন না ? তাই তো জোর করতে হয়, রাগারাগি করতে হয় ।
ও গিভ এন্ড টেক পলিসি বলছ ?
উফ সেই ট্যারা-বাঁকা কথা । ঐ জন্যই মাথাটা গরম হয়ে যায় ।
এতক্ষণ ধরে মুঠোয় পুরে পিষলে, তা ও শরীর ঠাণ্ডা হয় নি ?
রঞ্জন বিরক্ত হয়ে নিজের বালিশে শুয়ে পড়ল, সেই জন্যই তো, মুঠো খুলে আর তোমাকে পাই না যে।
মুচকি হেসে রিনি বলল রাত হয়েছে, ঘুম পাচ্ছে, তুমি ও ঘুমাও ।


কবি / সাহিত্যিক পরিচিতি
      - ডোমজুড় - 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.