মহাকাশ


অচেনা সন্ধ্যা

আজ সন্ধ্যে যেই নামল- 
মুখচোরা লাজুক বাতাসেরা 
ঝুল বারান্দায় এসে ডাকল-
হৃদয়, ঘরে আছ হৃদয়?
এসো, কাছে এসো, নিজেকে করো ছন্দময়। 
বুকের কপাট খুলে নীল ইচ্ছেরা 
বেরিয়ে এল বাইরে- 
নীরবতার শেকল ছিঁড়ে বলল, 
আয়, আয় আমার ঘরে। 
মনের শোকেসে রাখব যত্ন করে। 
ধুক্-পুক্ হৃদয়ের সুর তোলা ঢেউ গুলো- 
ছলাৎ ছলাৎ করে এসে জল বিছিয়ে দিল 
কোন এক কিশোর মনের বালুকা তটে- 
সাবধানী মন বেশরমে আছাড় খেল অকপটে। 
আধ পোড়া জোছনার রূপবতী চাঁদ 
কিশোরীর মত এসে- 
চোখ-চিবুক-ঠোঁট ছুঁয়ে, ছুট্টে পালিয়ে গিয়ে 
লুকোচুরি খেলতে শুরু করল 
মেঘের সাথে, আকাশে। 
‘মন’ হল যেন ডানা মেলা এক 
প্রজাপতি পাখা। 
সূর্যমুখীর সাথে বুঝি আজ প্রথম দেখা। 
ঘরের দেওয়াল-বিছানারা সব অন্য রকম- 
পড়শিরা নতুন বরকে দেখার জন্যে 
সেজে গুজে এসে হুমড়ি খায় ঠিক যেমন।
ঘরের টিমটিমে টিউব আজ যেন 
ঝাড়বাতির সাজে 
ভালবাসার ছন্দে গন্ধে আছে মজে।
মঙ্গল কামনায় সাঁঝবাতিটা 
একা একা পুড়ছে শুধু ঠাকুর ঘরে- 
ঠিক যেমন ‘কুমারী মন’ না-পাওয়া ভালবাসায় 
নিজের মনকে পুড়িয়ে ছাই করে। 
রক্ত-মাংসের-মনের তৈরি এই ভেতরের ঘরটা 
আজ যেন এক তাজমহল-
মমতাজের স্মৃতিতে আজও যা উজ্জ্বল।

- কলকাতা - 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.