সিরিজ – বয়স
বয়স-১
হাঁটি হাঁটি পা পা সময় ক্রমশ সামনে এগোয়,
সময়ের সাথে এগিয়ে চলে পৃথিবী,
দিগন্তের নীলচে আলোয় যাত্রাপথের সমাপ্তিরেখা হেসে ওঠে,
বৃত্তের পর বৃত্ত এঁকে মৃত্তিকা-জলের বুদবুদ ভরিয়ে তোলে
শূণ্যতার ল্যান্ডস্কেপ।
কিশলয়ের সাথে সবুজ পাতারা
অপেক্ষায় থাকে পথভোলা পথিকের,
আমার চোখ বারবার ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়
ফেলে আসা দিনের অ্যালবাম,সোনালী ফ্রেমে সাজানো
সোহাগ স্নেহ ভালোলাগা ভালোবাসার খন্ডচিত্র।
আমি পিছোতে থাকি ,
মধ্যবয়সের খসখসে মোটা চামড়ার খোলসটা ছিঁড়ে ফেলি,
রক্ত মাংস চর্বির আস্তরনের নীচ থেকে
হেটমুন্ড উর্ধপদ নিরাবরনা আমি
ক্রমশ গর্ভের অন্ধকারের দিকে হেঁটে যাই বলীরেখা ওঠা মুখে !
ফোকলামুখে চাঁদেরবুড়ী ফিরতি গুণতিতে আঙ্গুলে বয়স গোনে
সাত ..ছয়…পাঁচ…চার…তিন…দুই…এক…
বয়স-২
আলো আর আঁধারের ঝুলন্ত একটা সাঁকো ,
নীচে মেঘ বৃষ্টি রো্দুরের স্মৃতির মত নিরাকার প্রবাহ,
গুটি গুটি পায়ে বৃদ্ধ যাযাবর খুঁজে চলছে ওর বসতভিটা আর
তিনহাত মাত্র জমি …
ভুঁই চাঁপার মত দুঃখ কষ্ট বেদনা ঝরে পড়েছে টুপটাপ,
যাযাবরের মাথায় মুখে বুকে,
মায়ের স্পর্শ নিয়ে রাজ্যের ধুলো নিবিড়ভাবে জড়িয়ে নিচ্ছে,
কাঁটায় কাঁটায় পিছলে যাচ্ছে জলঘড়ি নিশ্বাস ..
বিশ্বাস অবিশ্বাসের শেকলে বাঁধা অস্পৃশ্য স্বাধীনতা,
সময়টা ভালো যাচ্ছে না ,
কবে আর ভালো ছিলো বলো !
বয়স বাড়তে কমতে, কমতে বাড়তে, সাপলুডোর দান,
বৃদ্ধ যাযাবরের দু’চোখে নিত্যতুন এক একটি স্বপ্ন।
চলো তবে,
একটু গা বাঁচিয়ে সময়ের সাথে পা মিলিয়ে আমিও নাহয়
বয়সের সাথে কানামাছি খেলি।
- কলকাতা -
সুচিন্তিত মতামত দিন