
উঠোন জুড়ে
১।
তোর ঐ ...কাজল ডাঙা চোখের লগ্ন মাধুরীর ইশারাতে .... এক পশলা ঝর্ণার নগ্ন সাদা শরৎ ও যেন তুচ্ছ, রাতও মাথা ছোঁয়াবে আকাশ ভেঙ্গে ... আমার রঙিন প্রজাপতির বাগিচায় , তুই জোসনার আঁচল পেতে রাখিস আমি আলো হয়েই ঝরবো নিয়ে গুড়ো গুড়ো ক্লান্ত ভবঘুরে, যদি বলি আমি মুছিয়ে দেবো তোর সিঁথির ঘেমে যাওয়া চুল ! একটু কৃষ্ণচূড়ার আলোতে চাঁদকে করবো নিমন্ত্রণ সিঁদুর ফোঁটা আঁকতে, শুধু তুই রংধনুর রুমালে স্নান টুকু সেরে নিস না।
২।
সন্ধ্যের শঙ্খতে নয়ন পেতেছি তোর পোড়ানো ধুপে এঁকেছি পবিত্রতা সন্ধ্যে আলোয় করেছি স্নান, তুলসি তলাতে প্রাণ বেঁধেছে প্রদীপে এক সমুদ্র মন আরাধক, শুধু দেখবো তোর শ্রীচরণ বাতাসে খুঁজবো ঠোট ছোঁয়ানো উলুধ্বনি গায়ে উরবো সন্ধ্যে পুঁজোর চাঁদর।
তোর সিঁথিতে ঘাম জমেছে ভিঁজিয়ে ঝড়ছে নাগরেণু, কানে ভাসে জোঁনাক ধ্রুপদ তিলক চোখে দৃষ্টি দীঘল ঘাম মুছিয়ে শিশিরে ভিঁজবো হোসনে যেন অগ্নিতনু।
মন আজ মন্দির প্রায় আঙিনা জুরে তোর আঁকানো চন্দনে আল্পনা, তোর কেঁশে ঘাট বেঁধেছে জল চোয়াবে জোনাক কন্যা, নাগপুষ্প ফুল ছেটাবে ভিঁজবো দুজন হয়ে ত্রিশুল।
৩।
রোদগুলো সব রং পেয়েছে ধূসর কথার ফাকে, পথগুলো সব জল ছুয়েছে চোখের ইশারাতে, তুই চুল খুললেই..... কৃষ্ণচূড়া আমায় কাছে ডাকে, তুই টিপ পড়লেই...... বসন্ত একটু কথা রাখে,
আমার থমকে যাওয়া মন একটু ক্লান্তি খোঁজে যখন, তোকে ভাবতাম... কাছে ডাকতাম চাইতাম তোর নিমন্ত্রন, শান্ত জোঁনাক ঝাক... ধুলো মাখা চাঁদের ডাক... ভিড় করছে, কথা বলছে বইয়ের পাতাতে ডুবছে রাত... তবুও ....আমার একটা ভোর জেগে আছে একটু একটু কুয়াশাতে, আমার একটা মন স্নান করছে শুধু .........তোরই খয়েরী অপেক্ষাতে।
সুচিন্তিত মতামত দিন