এক মুঠো প্রলাপে আজ আমরা মুখোমুখি হয়েছি ,মিলিত হতে পেরেছি এই প্রজন্মের স্বনামধন্য এবং জীবনমুখী কবি,সাহিত্যিক,গল্পকার শর্মিষ্ঠা ঘোষের সাথে। উত্তরবঙ্গের অধুনা পশ্চিম দিনাজপুরের বর্তমান বিভাজনে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে কবির নিবাস। সেখানেই তার শৈশব , কৈশোর। স্কুল কলেজের গণ্ডি পেড়িয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শিক্ষালাভ করেন। বর্তমানে দুই বাংলার সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি রায়গঞ্জ শহরেই একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষিকাতা করছেন।
স্বাগত কবি আন্তর্জাতিক শব্দের মিছিলে’ র এক মুঠো প্রলাপে ।

ধন্যবাদ প্রিয়দীপ , আমি আপ্লুত এমন একটি প্লাটফর্ম এ আপনাদের মুখোমুখি হতে পেরে ... 'আন্তর্জাতিক শব্দের মিছিলে’ র উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এই উদ্যোগের প্রতি ... ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর লোকেদের প্রতি আমি চিরকালই শ্রদ্ধাশীল ।
‘’ উদীয়মান এবং উৎসাহদান ‘’ শব্দের মিছিলের মূল শ্লোগানে আপনার নিরুঙ্কুশ সক্রিয়তা আমাদের সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করে। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর উপমাটি বেশ তাতপর্যপুর্ন বর্তমান সাহিত্য অঙ্গনে। ঠিক তাই শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে কবি – শব্দের ফেরিওয়ালাদের প্রতি আপনার প্রদত্ত সন্মান জ্ঞাপনে। প্রথমেই যে বিষয়টি আজ নীরব আলোচ্য সেই প্রসঙ্গে ছোট্ট একটি প্রশ্ন । আপনি নিজেকে একজন শ্রেণিভেদে নারী নাকি মানুষ ভেবেই গড়ে উঠছেন ?

এই প্রশ্নের উত্তর নিহিত আছে আমার এই অনুভবে ... মনে হয় এর বেশি কিছু বলার ছিল না আমার ... আমার কোন মেয়ে দিবস নেই আমার কোন ছেলে দিবস নেই আমার কিছু স্বপ্ন দিবস আছে না মেটা জনিত ক্রোধ দিবস আছে ... । আমি চাই সমস্ত পাব্লিক ট্রান্সপোর্ট এ লেডিস সীট অবলুপ্ত হোক , কোন বৃদ্ধকে দেখে উঠে দাঁড়াক কোন যুবতী আমি চাই যে কোন কাউন্টারে একটিই লাইন হবে ‘আগে এলে আগে পাবে’ ভিত্তিতে , আমি চাই ভালোবাসা পেলে পছন্দের পুরুষটির সামনে হাঁটু মুড়ে প্রেম নিবেদন করবে ইভ আমি চাই মুখ চোরা লাজুক ছেলেটির শার্সিতে টোকা মারুক ঢিল বাঁধা সুনীল , শ্রীজাত উঠতি যুবার গ্রীক নিন্দিত কাঠামো দেখে কোন তরুণী জিভের আড় ভেঙ্গে অস্ফুটে বলুক ,’উফ ...আহ...আউচ...’ আমি চাই পাইলট মেয়েটি চুপিসারে তার এক্স প্রেমিকের ছাদে ছড়িয়ে আসবে গোলাপ পাপড়ি আমি চাই পাহাড়ের চুড়োয় মেয়েটি পত পত বিজয় পতাকা উড়িয়ে গলা ফাটিয়ে বলে দেবে লুকোনো ভালোবাসার নাম , আমি চাই মেসেজবক্স এ জ্বলজ্বল করবে , ‘ চাকরিটা আমি পেয়েগেছি ছেলে শুনছো , এখন আর কেউ আটকাতে পারবেনা ‘... আমি চাই সদ্যজাত মেয়ের মুখচুম্বন করে বাবা বলবে , ‘দেখ , পিতৃপুরুষ , আমার বংশধর ‘... আমিচাই মুখাগ্নি করে , কাছাধারী , মুণ্ডিত মস্তক মেয়েটি পূর্বপুরুষ কে তিল তুলসী তর্পণ করবে আমি চাই বিয়ে বাড়ির গাড়ির পেছনে দুটি শোলার নিশান , ‘মানব ওয়েডস মানবী ,’এবং ‘মানবী ওয়েডস মানব’ এমন অনেক কিছুই আমি রোজ রোজ চাই , চেয়ে যাবো না পাওয়া পর্যন্ত।
আমার কোন মেয়ে দিবস নেই আমার কোন ছেলে দিবস নেই আমার কিছু স্বপ্ন দিবস আছে না মেটা জনিত ক্রোধ দিবস আছে ...
বিস্মিত হতে গেলে আগে বিস্ময়ের সংজ্ঞা জানতে হয় – সংজ্ঞা বুঝি একেই বলে। সত্যি বলছি – খোদা কসম বলছি আমরা চাই , আরও বেশী বেশী চাই শুধু সাহিত্যিক শর্মিষ্ঠা ঘোষ নয় শুধু শিক্ষিকা শর্মিষ্ঠা ঘোষ নয় আমরা চাই – এহেন মানুষ দরদী , মানুষের সমব্যাথি , মানুষের আশুকল্যাণ ব্রত , মানুষের অধিকারে আন্দোলিত , সম্ভ্রম সন্মান এবং আত্মমর্যদার সহিত সম্মুখে আগুয়ান লক্ষ লক্ষ শর্মিষ্ঠা ঘোষ। তবেই এই সমাজ , সমাজের তাবেদারি রঙচঙ মাখা অশুভ আতাতের দোসরদের প্রতিঘাত করা সম্ভব। কেননা একটা দেশ ও সমাজ কতটা সভ্য তা নির্ণয়ের প্রধান সূচক ‘ই হচ্ছে – সেই সমাজে বা দেশে সকল ধর্ম , সকল বর্ণ, জাতিসত্তা , ভাষা , লিঙ্গ , বিত্ত নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান অধিকার ও মর্যদা নিশ্চিতকরণ। আমাদের মূল শ্লোগান এসো মানুষ হই । আপনার বলিস্ট কণ্ঠস্বর শব্দের মিছিলকে আরও মুখরিত আরও প্রসারিত করবে – আমরা নিশ্চিত।
সাহিত্য চর্চার প্রতি আপনি মনোনিবেশ হলেন কেন ? ঠিক কিভাবে অনুপ্রাণিত হলেন মানুষের বিভিন্ন চাওয়া পাওয়াকে শব্দের মাধ্যমে সমব্যাথি হবার ?

আমি সুবক্তা নই । অনেক বলার কথাই সময়মত বলে উঠতে পারি নি ... পারি না ... পরে আফসোস হয়েছে ... পরে মনে হয়েছে , অনেক কিছু বদলে যেতে পারতো সময়মত সঠিকভাবে কমিউনিকেট করতে পারলে ... অথচ আমারও মনের মধ্যে ভাংচুর চলে , কখনও চলকে উঠি কখনও বিবমিষা আদ্যন্ত কখনও ধিকি ধিকি ক্রোধ আর মন্দবাসার অক্ষম জ্বলন ... প্রথমে লিখতাম দিনলিপি ... পরে আরেকটু ছড়িয়ে গিয়ে লেখনি আর প্যাশন একাকার ... এইমাত্র... খুব একটা উচ্চাকাঙ্ক্ষা কিছু ছিল না ... লেখা শুরু করার পর দেখলাম , একটা ভাবনা শেয়ার করার পর অর্গাজমের মতই প্রশান্তি আসে ...
এই হল মানুষ – এই যার প্রবৃত্তি। নিজের ভেতরের উথাল পাতাল জলরাশি কে আমরা কখনো আবেগে অপাত্রে দান করি , সয়ে যাওয়ায় না হয় গায়েই মেখে নেই অথবা ধীরে ধীরে অজান্তেই ভাবনাগুলি প্রসবিত হয় মানপত্রে – যেখানে লিপিবদ্ধ হয় বিরহ , বেদনা , ঘাত প্রতিঘাত এমন কি সুখের বনেদিয়ানার সুবিশাল সামিয়ানা। আর এই থেকেই সৃষ্টি সাহিত্য – যেখানে আলোড়িত হয় এক একটি মানুষের রচনায় বহুবিদ মানুষের কথা।
আপনার বহুল আলোচ্য এবং পাঠককুল সমৃদ্ধ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় ‘’ কবিতাকে শ্লোগান কিংবা শ্লোগানকে কবিতা বলে চালানোর দায় নেই ’’ লিখেছেন – কেন ?

উত্তরটাও তো ওই কবিতাতেই দিয়েছি ... কোন রাখঢাক চাই না ... আমি খুব সরাসরি তির ছুঁড়ি ... আমার লক্ষ্য একটাই ... অন্তর দিয়ে অন্দরে প্রবেশ ... আমাদের পাঁচটা ইন্দ্রিয়ের বাইরের ষষ্টতম অনুভবের কাছে পৌঁছনোর এই তাগিদ আমার চিরকালীন ... ভনিতা নয় ... ডাইরেক্ট অ্যাটাক ... পাঠকের অন্তরে ... ভালবাসায় ... মন্দবাসায় ... রাগে ... অনুরাগে ... অভিমানে ... কান্নায় ... প্রত্যাঘাতে ...
বিগত দিনে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুনেছি শুদ্ধিকরণ শব্দ । একবার ভাবুন তো রাজার নীতি প্রণয়নের মানুষেরা জনসম্মুখে দোষ কবুল করেও শুধুমাত্র একটি শব্দে নিজেদের ধুয়ে নিতে পারেন অনায়াসে । বিশ্বাস করুন হাসি আজও , সেই থেকে রাগ শব্দটিও আমার কাছে লুপ্ত প্রায়। এরপরও শুনেছি উন্নততর অমুক ফ্রন্ট তমুক ফ্রট ইত্যাদি ইত্যাদি। কতটা সেই ক্ষেত্রে উন্নততর সেই আলোচনায় না গিয়ে এই উন্নততর শব্দটি আমি নির্দ্বিধায় আপনার স্বচ্ছ ভাবমুর্তি , ভনিতাহীন সক্রিয়তা , এবং সহজ সরল উপস্থাপনার প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ অর্পন করলাম । গ্রেট !
আপনি বলেছেন , যে ভারচুয়াল পৃথিবী আলোকিত করে শয়নকক্ষ , যে গ্লোবাল ভালোবাসা - ভালোবাসি চেটেপুটে খায় হৃদয় , তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে আপনি মেলে ধরতে চান নতুন কোন বিশ্বাস । কি এই বিশ্বাস যদি আলোকপাত করেন ?

আমি জীবনভর একটা খোঁজের মধ্যে আছি ... সিমপ্লিসিটি অ্যান্ড জেনুইন লভ ... কোন সমীকরণ নয় ... কোন থিয়োরি নয় ... কোন দেখনদারী নয় ... শুধু হৃদয় দিয়ে হৃদয় ছোঁয়া ... শুধু চোখে চোখ রাখার সাহস ... শুধু কমপ্লিট সারেন্ডার কোন ভাললাগার জন্য ... জীবন মরণ পণ ...
শুধু হৃদয় দিয়ে হৃদয় ছোঁয়া ... শুধু চোখে চোখ রাখার সাহস ... শুধু কমপ্লিট সারেন্ডার কোন ভাললাগার জন্য ... জীবন মরণ পণ ... অপূর্ব কবি। আপনার কবিতায় যেমন খুঁজে পাই জীবনের দর্শন , সামাজিক ন্যায়বোধ এর তাপমাত্রা তেমনি খুঁজে পাওয়া অন্তর্নিহিত ভালোবাসার আজন্ম পূজারিকে । কতটা স্বস্তি দেয় আপনাকে আপনার শব্দের আল্পনা ?

এই লেখাই আমাকে দিন শেষে আয়নার মুখোমুখি করে ... আমার মনে হয় , একমাত্র এখানে কিছু লুকোবার নেই, এখানে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকার বাধ্যবাধকতা নেই ... এখানে জন্ম মৃত্যুর মত অমোঘ কিছু শুধু সাথে থাকে শুরু থেকে অন্তিমে । আমার আমি এখানে কাছাখোলা , সবরকম সংস্কার মুক্ত ... এখানে মুখোমুখি শুধু আমি আর আমার জীবন দেবতা... আমি আর আমার মন ... আমি আর আমার দৃষ্টি ... আমি আর সেই জন , যাকে নির্বিশেষে সব সমর্পণ করবো বলে এই আকুতি ...
মুগ্ধ। জানিনা আপনি নির্দিস্ট রাজনৈতিক অঙ্গনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কিনা । রাস্ট্র এবং তার প্রতিফলিত সমাজে উগ্রজাতীয়তাবাদ , মৌলবাদ , মিথ্যাচার এবং মানুষ নিয়ে মানুষের সার্বিক অধিকার নিয়ে যেসব আজ সম্মুখে সেটাকে কিভাবে দেখছেন ? শুধু কি পুঁথিধৃত শিক্ষাই এই মেরুকরণ উল্টিয়ে দিতে পারে নাকি সামাজিক শিক্ষা , সক্রিয় সচেতনতা আজ আরও জরুরী ?

আমি যে বিশেষ রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাস করি , সেখানে নিরন্তর আত্মজিজ্ঞাসা আর আত্মবিশ্লেষণের কথা বলা আছে ... সেখানে নিয়ত প্রশ্ন ওঠে আর সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সমাধান সূত্র খোঁজার কথা বলা আছে ... আছে বস্তাপচা ধ্যানধারণা ছেড়ে সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গীতে চলার কথা ... দুঃখের বিষয় আমরা ইজম টাকে বুকিশ একটা পরিমণ্ডলে বেঁধে রাখি ... জীবন দিয়ে জীবন কে অনুভব করে এর চর্চা করি না ... অনেকে বলেন তাই , এর দিন গিয়েছে , কিন্তু , আমি যতদিন বাঁচব , চাইবো , আমার ঘরে যে ধন আছে , আমার প্রতিবেশীর ঘরেও সেই ধন থাক ... আমার সন্তান দুধে ভাতে থাক , নিশ্চয় চাই , চাই , আমার প্রতিবেশীর বাচ্চাটাও তাই ই যেন পায় ... সমাজে উগ্রজাতীয়তাবাদ , মৌলবাদ আমি কোন ওজুহাতেই সমর্থন করি নি ... তবে বর্তমান পলিটিক্যাল সিনারিও তে আমি ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ পলিসি তে বিশ্বাসী ... একটা চেঞ্জ এসেছে ... আসার ছিলই ... আমি আশা করি মানুষের সদিচ্ছার অপর , আমি বাজি রাখি নতুন কে কিছু করে দেখানোর সুযোগ দেবার ওপর ... সবাই তো যথেষ্ট পরিণত ... নিজের দায়িত্ব ভালোই বোঝেন ... আমি আশা ছাড়ছি না তাই ...
নিশ্চয়ই নতুনকে সুযোগ দেওয়া উচিৎ এবং উচিৎ সংবিধানের বাস্তবিক মুখ জনসম্মুখে তুলে ধরা কেননা এখানেই যতো সারকথা। আলোচ্য এবং বিতর্কিত একটি প্রশ্নে – আমরা প্রায়ই দেখে থাকি, জেনে থাকি নারী পুরুষের সমধিকার চাই ? নিশ্চয়ই চাই। জানতে চাওয়া – আদৌ কি নারী অধিকার থেকে বঞ্চিত ? আইন কি বলে !

নারী তার অধিকার থেকে যতটা না বঞ্ছিত, সে অনেক বেশি বঞ্চিত নিজের পটেনশিয়াল বোঝার ক্ষমতা থেকে ... সে জানেই না ঠিকঠাক , কি বিপুল সম্ভবনা তার মধ্যে লুকিয়ে আছে । একটু খালি নিজেকে চিনুক সে , একটু দাম দিতে শিখুক তার এই মানব জন্মের , একটু আত্মবিশ্বাস অর্জন করুক শুধু ... লেটস সি দ্য ওয়ান্ডার ... হুম , আইন আছে , তার অপপ্রয়োগ আছে , ফাঁক আছে , ফাঁকি আছে , আসল হল , নিজের গুরুত্ব নিজেকে বুঝে সেইমত মোটিভেট করা ... মেনটাল মেকআপ টাকে একটু তোলপাড় করে দেওয়া ... নিজের শর্তে বাঁচার ইচ্ছেটাকে লালন করা , বড় করা ,প্রাপ্য সম্মান দেওয়া ...
আত্মসমালচনা’ই জীবন গঠনের মূল স্তম্ভ। কি পেলাম বা নাই পেলাম – কতটা দিয়ে যেতে পারলাম এই সমাজে ঠিক এই মতবাদের মানুষ আজ প্রায় গণনে। কেন যেন মনে হচ্ছে কি যেন প্রায় জয় করে ফেললাম কবি। এতো দ্বি চারিতা – এতো স্বজন পোষণ – এতো হীনমন্যতার মাঝেও সত্যি খুঁজে পেলাম মানুষের প্রতিনিধি। আপনার ভাবনা এবং তার আশু প্রয়োগে আপনি নিজে যেমন দীক্ষিত তদ্রুপ আমার স্থির বিশ্বাস শব্দের মিছিলের প্রতিটি শ্লোগানধারী মানুষেরা সেই দীক্ষাকে সাদরে গ্রহন করবেন এবং কুর্নিশ জানাবেন।
বিজ্ঞানের অগ্রসরের সাথে সাথে তরঙ্গের এই মায়াজালে সাহিত্য চর্চার মান,উদীয়মান লেখক লেখিকা বা তাদের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন সাহিত্য ধর্মীয় ব্লগ , গ্রুপ , পেজ এর যে উত্থান তার অগ্রগতি আপনার কেমন লাগে? কি হলে আরও অগ্রগতি পায় এহেন প্রয়াস, যদি বলেন ?

আমি যুগের সাথে চলতে আগ্রহী ... নিয়ত পাল্টে যাওয়া মাধ্যমের সদব্যাবহার করে সমানতালে চলবে সমাজ , জীবন , দর্শন , সাহিত্য এটাই কাম্য ... এখানে নস্ত্যালজিয়াকে আমি পাত্তা দি ই না ... চেঞ্জ ফর বেটার ফিউচার অ্যান্ড স্কোপ ইস অলওয়েজ ওয়েলকাম ... এই তো আপনারা আছেন , স্বপ্নদ্রষ্টা , আপনাদের পাশে আছি আমরা , সবটুকু সাথে থাকার আশ্বাস নিয়ে ... চলুন হাঁটা যাক এক সাথে ... এক গন্তব্যে ... এক স্বপ্নের সাথী হয়ে ...
আমরা শুনলাম , জানলাম কবি শর্মিষ্ঠা’ র প্রত্যয়ীর কথা । তিনি জেনে নিতে চান কোন কার্তুজে কোন বন্ধুক ঠিক ঠাক চলে , যেখানে নষ্ট স্বপ্ন কুরে খায় পদ্যরাত , যেখানে বুকের ভেতর কষ্টপুকুর আর জলের উপর ছায়া, সেই অলীক সব ভালবাসার আজন্ম পূজারি তিনি। অপেক্ষায় রয়েছেন মধুপর্কের বাটি হাতে । কবিতার শব্দময় উঠোন নিকিয়ে দিয়ে এই তার বসে থাকা নিরন্তর । আবারো কৃতজ্ঞতা জানাই , শ্রদ্ধা জানাই আত্মার সান্নিধ্যে থেকে। শতায়ু হোক কলম অলীক অলীক ভালোবাসায় – স্পর্শে বিন্দু বিন্দু দিয়ে ...।
সুচিন্তিত মতামত দিন