
বেশ উঁচু জমিদার বাড়ির ঢোকার মুখেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহদ্বার। সিংহদ্বার পেরোলেই খোলা চত্বর। তারপরই রয়েছে জমিদার বাড়ির মূল ভবন। জমিদার বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৪টি বিশাল ভবন, বন্দিশালা, গোলাঘর, রঙমহল, দরবার হল, অন্দর মহল। আরো আছে অন্দর মহলের শানবাঁধানো ৪ ঘাটলার দীঘি। আনুমানিক ১৭৯০ খৃষ্টাব্দে জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়।
শোনা যায়, জমিদার বাবুরা বেশির ভাগ সময়ই রঙমহলে কাটাতেন। রঙমহলে তারা সুর, শরাব আর নর্তকীদের নৃত্যের ঝংকারে মগ্ন থাকতেন।কালের সাক্ষী জমিদার বাড়িতে বর্তমানে রঙমহলের কক্ষটিতে শোভা পাচ্ছে জমিদারের ব্যবহার্য বিভিন্ন আসবাবপত্র। রঙমহলে রাখা কাচের আয়না ও শ্বেতপাথরের দুটি গাভি খুব সহজেই সকলের দৃষ্টি কাড়ে।
৫ একর ৩২ শতাংশ কারুকার্য খচিত মনোমুগ্ধকর প্রতিটি ভবনের দেয়ালই জমিদারদের প্রতিষ্ঠা করা। জানা যায়, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার বিনোদপুর ছিল বালিয়াটি জমিদারদের পূর্ব নিবাস। মহেশরাম সাহা নামে জনৈক বৈশ বরেন্দ্র শ্রেণীর ছোট্ট এক কিশোর নিতান্তই ভাগ্যের অন্বেষণে বালিয়াটি আসেন এবং জনৈক পান ব্যবসায়ীর বাড়িতে চাকুরি নেন। পরবর্তীতে ওই বাড়িরই মেয়ে বিয়ে করে শশুরের সঙ্গে ব্যবসা করে প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী হন। মহেশ রামের ছেলে গনেশ রাম লবণের ব্যবসা করে আরো উন্নতি লাভ করেন। গনেশ রামের ঘরে গোবিন্দ রামসহ ৪ ছেলে জন্মগ্রহণ করে। গোবিন্দ রাম বালিয়াটিতে বিয়ে করে এখানেই বসবাস শুরু করেন। গোবিন্দ রামের ৪ ছেলে প্রথমে একসঙ্গে এবং পরে পৃথক পৃথকভাবে ব্যবসা শুরু করেন। এই ৪ ভাই থেকেই বালিয়াটি গোলাবাড়ি, পূর্ববাড়ি, পশ্চিমবাড়ি, মধ্যবাড়ি ও উত্তরবাড়ি নামে ৫টি জমিদার বাড়ির সৃষ্টি হয়।


যাতায়াত : ঢাকা থেকে সাটুরিয়াগামী বাস যায় গাবতলী থেকে অথবা নিজস্ব গাড়িতে ধামরাইয়ের কালামপুর হয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় যাওয়া যায়।
- ঢাকা -
সুচিন্তিত মতামত দিন