
যন্ত্রণা
কি দেখি
কি শিখি
ভেজাল ভুলে ভরা
আসল খুঁজি
না পেলেই
খেয়ে যাচ্ছি ধরা ।
কি আশা
কি ভরষা
ভেবেই হচ্ছি শেষ
কোথা সুখ
আছে দু'খ
আছে কষ্টের পরিবেশ ।
কি ভেবেছি
কি হচ্ছে
ভেবে পাইনা কুল
কি করবো
কোথা যাই
ভেবে ছিড়ছি চুল ।
প্রথম ও পরে
প্রথম দর্শনে
নয়ন লজ্জায় মিটি মিটি দেখতো
পরে পলকহীন তাকিয়ে থাকতো
প্রথম আলাপনে
মুখ লজ্জায় এলোমলো ভাষা বলতো
পরে কথা বলায় যেন খৈ ফুটতো
প্রথম স্পর্শে
নরম হাতদুটো আলতো ভাবে ধরতো
পরে হাত ধরে বারবার আঙ্গুল গননা করতো
প্রথম বিনিময়ে
একগুচ্ছো ফুল হাতে দিতো উপহার
পরে পেতো অনেক কিছু নেইতো ছাড়
প্রথম আপ্যায়নে
ক্ষিধে পেলেও বলতো ক্ষিধে নেই
পরে খেয়ে যেতো যা কিছু দেই
প্রথম গড়লো
হৃদয়ে হৃদয়ে দৃঢ় সেতু বন্ধন
পরে ভালোবাসার সৃষ্টি হলো আমরন ।
সুন্দর বীজ করবো বপন
সুন্দর বীজ করবো বপন
তোমার কালো টবেতে
যত্ন নিও আপন করে
দিওনাগো ঝরে যেতে ।
সীমিত সময় রেখো তাকে
স্নেহ আদর মায়া মমতায়
একদিন সে দেখবে আলো
নাম লিখাবে বিশ্ব খাতায় ।
যাবেনা সে তোমায় ছেড়ে
বাস করবে তোমার ছায়ায়
শিক্ষা দিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে
তোমার যেনো সুনাম রাড়ায় ।
হৃদয় থেকে করবো দোয়া
সত্যি বলছি এটাই আসল
রেখে যাবো তোমার কাছে
প্রেম ভালোবাসার এইযে ফসল ।
আছে কোনো দাম !
পড়োনে নাই জামা
পেটে নাই খাবার
নাই বাড়ি ঘর
অপ্রিয় পাত্র সবার ।
পথে পথে ঘুরা
পথের মাঝে বাস
ভয়ে কাটে দিন
যদি আসে সর্বনাশ ।
কাজ কর্ম নাই
কাটে দিন বেকার
কষ্টে কাটে সময়
কে আছে দেখার !
টোকাই বলে ডাকে
এটাই নাকি নাম
বলেনতো ভাই তাদের
আছে কোনো দাম !
খুবই বুদ্ধিমতী
পিঁপড়াগুলো হেটে চলে
ছয়টি ওদের পা
দলবদ্ধ চলে ওরা
সন্তান বাবা মা ।
গ্রীষ্মকালে খাদ্য খুঁজে
এদিক সেদিক ছুটে
সংগ্রহ করে চলে
যখানে যেটা জুটে ।
পিঁপড়ারা সব পরিশ্রমী
অকারনে করেনা ক্ষতি
একত্রেতে করে বাস
ওরা খুবই বুদ্ধিমতী ।
প্রকৃত ভালোবাসা
নয়নের কনিকা ও কনিকায় আকর্ষন
সেই থাকেই শুরু হলো দর্শন
মৃদু কম্পনের সৃষ্টি নরম ঠোঁটে
বক্র হাসির রেখা জেগে উঠে ।
শ্বাস প্রশ্বাসের বেগ দ্রুত বাড়ে
বক্ষ মাঝে সংকুচন প্রসারন করে
চলার পথে হয় কাছে আসা
এই থেকে শুরু বিনিময় ভাষা ।
ফুল দিতেই হাতে হাত রাখা
স্পর্শে মৃদু কম্পন অনুভব মাখা
অংকুরিত হয় লুপ্ত স্বপ্ন আশা
এই থেকেই যাত্রা প্রকৃত ভালোবাসা ।
- ঢাকা -
সুচিন্তিত মতামত দিন