আগন্তুক





পথের শেষে 



আবর্ত্য শেষ হল..
হারামজাদার ঠিকানা বদল!
কোনো এক বসন্তের দুপুরে বসত-বাটি নিয়ে
বাসা বেঁধেছিল ভাড়ার ঘরে..
অবশ্যই মালকিনের সম্মতিতে, কারণ
মালকিন মানুষটি আদৌ চিনতো না স্যুটেড হারামজাদাকে..
তাই প্রথমে সঙ্কোচ,পরে অভ্যর্থনা,আর তারপর আনাগোনা;
রোদ্দুরের তেজ গ্রীষ্মের সাথে বেড়ে চললো,
আর খুলে যেতে লাগলো বহুমূল্য স্যুট ভেস্ট জ্যাকেট টাই,
বেরিয়ে এল আসল শয়তান!
মালকিন আতঙ্কিত, অথবা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ!
পাপের পারানি দিয়ে হারামজাদা
রক্তাক্ত করে তুললো সাদা গোলাপকে,
ছিঁটে পড়ল বেসিনে, কাপড়ে, মনের আয়নায়..
ঢোঁড়া সাপের ব্যাং গেলা!
তাও নির্লজ্জ হারামজাদা অনড়!
মালকিন আর রাস্তা না পেয়ে বাড়ী বেচার সিদ্ধান্ত নিল, নিরুপায়..
হারামজাদার পোড়া বিড়ি একফোঁটা চুঁইয়ে আসা জলে
একরাশ ধোঁয়া ছড়িয়ে বেবাক উধাও করে দিল
গোটা শরীর,মায় আস্ত হারামজাদাকে!
দ্বাপর যুগে যুধিষ্ঠিরের সঙ্গী হয়েছিল যে কুকুরটা,
পুনর্জন্ম নিয়ে হারামজাদার আশ্রিত;
যুগ তা নেহাতই কলি,
অগত্যা সারমেয় ধর্ম পালন করতে লেজ নেড়ে প্রস্তুত,
হারামজাদা হলেও প্রভু!
ঝুলি, জরা আর ভাঙ্গা আয়না নিয়ে চামড়ার চটিতে পা মুড়ল,
অধ্যায়?
নরক গুলজার!

পশ্চিমবঙ্গ । 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.