
ঘরে ফেরা
ভালোই তো ছিলাম..আমার আমিকে নিয়ে ,
মনকে মন্দির আর জীবনকে দেবতা জ্ঞানে পূজো করে।
শুচি-অশুচি,ন্যায় নীতির বিচার মেনে, ভালো মেয়ে হয়ে,
তখন অনায়াসে মনের দোরগোড়া থেকে বিদায় দিতাম সোনাদিদিকে।
ছোটজাত বলে যে মন্দিরে ঢুকত না ,রান্নাঘরের চৌকাঠও চিনতনা ওকে,
ও যে বারো ঘর এক উঠানের বাসিন্দা। দিনের বেলায় ছুঁলে জাত যাবে যে!
নিজেকে বাঁচিয়ে নাকউঁচু ভঙ্গীতে চলতে গিয়ে আকাশের দিকে চাইতেই,
সূর্যের তীব্র চাহিদার ছটায় চোখ গেল ঝলসে,
অন্ধ হয়ে পরাশ্রয়ী লতার মত জড়িয়ে গেলাম কলঙ্কজালে।
সময়ের ফেরে আকন্ঠ ডুবে গেলাম দুর্গন্ধময় পাঁকে,
ঝুপ করে নিভে গেল যত তারা,চাঁদ,মোহনীয় সৌন্দর্য্য, সব ,…
এখন সমাজও আমাকে মুখ বুজে সহ্য করে নানান ছুতোয়,
আমিও নির্বিদ্বধায় ভুলে গেছি আমার গতকাল,
তাই আমার দেহে আঁকিয়েছি ট্যাটু,সুনীল দাসের ঘোড়া আর
উন্মুক্ত দেহের মায়াবী বিজ্ঞাপনে পরিপাটি গুছিয়ে নিয়েছি ভবিষ্যত ।
এখন ঘনকালো রাত শেষে আবছায়া ভোরের আলোয়
আমি আর সোনাদিদি রোজ একসাথে চৌকাঠ পেরিয়ে ঘরে ফিরে আসি।
কলকাতা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন