
ঘুড়ি ও স্বপ্ন
সুতো টানটান ছিল ঘুড়ি তখনও আকাশ মুখি সায়াহ্নে ছিল প্রত্যেক রাত,ভোররাতের করেছি অপেক্ষা প্রত্যেকরাতে। ক্লান্ত হয়েছি প্রত্যেক রাতে আর তারার মুখ দেখেছি, চাঁদের মুখ ঢেকে দিয়ে মেঘেরা বারবার রাজত্ব করতে চেয়ছে। সে রাতেও ঘুড়ি উড়িয়েছি রগরগে মেজাজে। কালোমেঘ আলো ঢেকে দিলেও ফুটে উঠেছে নিজ আবেশে, ঘুড়ি উড়েই চলেছে। আমার যে ঘুড়ি ওড়ে তা অনেক বেশী রঙ্গিন তাই সবার হয়ত নজরে পড়ে, কিছু তা নিয়ে হাসে আর কিছু ছিড়ে মাটিতে মিশিয়ে দিতে চায়। এটা সত্যি যে ঘুড়ির ওড়ার মাপ আছে তার বাইরে গেলে আর নিয়ন্ত্রন করা যায় না কিন্তু জোর করে তাকে সেই দিগন্তে মিলিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখিয়ে কেন টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামিয়ে আনা হয় এই প্রশ্ন তাড়া করে যখন টেনে আনার সুতোয় আমার রক্তের ছাপ লেগে যায়। প্রত্যেক নুতুন দিনে আকাশে মিলিয়ে দেবার কল্পনা কিন্তু তার আগেই টেনে নামানর তাগিদ। অনেকদিন পর আজ পরিকল্পনায় তাকে মুক্ত করে দেওয়ার তাগিদ দেখা গিয়েছে কিন্তু হাওয়াতে ভাসান যাচ্ছে না কিছুতেই অনেক কাগজ গুজে এক সমান করে ওড়ান গেল। আজ আর কিছুতেই সেই মজা হচ্ছে না ওই একগুয়ে রাস্তায় চলা শুরু করে দিয়েছে, আমার কথা অমান্য করছেই না । ওড়ার সময় শুধু কতগুলোকে কেটে বেড়িয়ে গেছে যা তার বিপরীত পরিচয় বহন করে নিয়েছে। তারপর এক অদ্ভুত বেগে মিলিয়ে গেল কোন এক কোনে, সাথে বয়ে গেল জুড়ে থাকা সুতো আর পড়ে থাকল সেই স্মৃতি বিজড়িত লাটাই মূল্যহীন হয়ে চিরজীবন । সময়ের সাথে তা মিলিয়ে গেলেও কিছু সুতো দিয়ে সে তার কোল আগলে রাখল।
শিলিগুড়ি ।
সুচিন্তিত মতামত দিন