রূপালী মোড়কে অচল আকাঙ্ক্ষা
প্রণয়ীর তুলে দেয়া পাত্রে গচ্ছিত বিষ
মধু ভেবে পান করে নিয়েছি,
মধ্য গগনের লাল সূর্যটা—
বিষাক্ত নীলে নীলে ছেয়েছে আজ !
হৃদয়, তোমায় কোথায় রাখি বলতো ?
একটিবার ভগ্নদেহ চাঁদের দিকে চেয়ে দেখ
বেদনার শিলালিপি আঁকা আছে মৌনতার আঁধারে !
আমার বিনম্র বোধ চুরি করে পাড়ভাঙা নদী—
বেশ বয়ে চলেছে ধারাবাহিকতায় ।
তোমার কাজল কালো চোখ—
দাও না মেলে এই ক্ষয়ে যাওয়া দিগন্তে,
দেখতে পাবে কতো বেশি তুষারপাতে—
টুপ টুপ ধারায় বয়ে চলেছে রক্তনদী !
কিন্তু সেখানে একবিন্দু প্রেম সুধা মিলবে না !!
হৃদয়ের ক্ষত আলগা করে—
দেখে নিতে পারো কুয়াশার রূপালী মোড়কে
কিভাবে ঢেকে দিয়েছি শীতল পরিপাটী দেহ,
ইন্দ্রানলে পুড়িয়ে কৃষ্ণবর্ন করেছি—
ব্যথার পারদে বিঁধে থাকা সন্ন্যাসী মন ।
নীল দেয়ালীকার অবয়বে—
দু পাঁজরের ফাঁক গলে
যে ছোট্ট মাংসপিন্ডটা দেখছো,
সেখানে এঁকে দিও ইচ্ছেমতো আঁকাবাকা গঙ্গা
তবুও যদি ভাগ্যদেবতা একটু লুকোচুরি খেলা বন্ধ করে ।
নির্লোভ ভ্রমণে—
অবৈধ মুদ্রার দামে অচল আকাঙ্ক্ষা
ঘূর্ণিবলয়ে আবদ্ধ হতে হতে ঝরে পড়ে প্রণয় তীর্থে,
স্বচ্ছ সরোবরে দিনলিপি এঁকে দিয়ে—
গভীর অরণ্যে অনুপম প্রেম সন্নিবদ্ধ হয় জীর্ণ মর্তে ।।
খুলনা ।
এমন একটা কবিতা পড়তে পেরে নিজেকে ভীষণ ভাগ্যবান মনে করছি। দারুন একটা ব্লগ, কবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ, জিও কবি।
উত্তরমুছুনহৃদয় তোমায় কোথায় রাখি বল তো ? অবাক করা লেখা ।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন