
বর্ষার শহর...
‘কোন সাহসে মালবিকা চুলের বাঁধন খুলে দেয় তোমার বুকে?
কোন স্পর্ধার চুম্বনে ঠোঁটে তোমার ভাটিয়ালি?
কেন উপেক্ষার ঝড়ে উড়ে যেতে হবে আমাকেই ?
সিনেমার অন্ধকারে নায়িকার উদ্ধত বুক কেন লালা ঝরাবে তোমার?
আমি কি মৃত না আকস্মিক?’
পেনের আঁচড় কাটতে কাটতে তুমুল বর্ষা আজ,নবনিতার পড়ার টেবিলে।
তিন দিন অভিসার পিচ্ছিল পথ,
ফোন বন্ধ যথারীতি,
নবনিতা নামক আকাশ আজ উত্তাল ,
প্রেমের আঁচরে সারা খাতা তছনছ,
‘দুঃসহ প্রেম, দাবানল তুমি
বিষাদ বিলীন প্রান্তরে
উড়ো ছাই আর উড়ো ছাই শুধু,
দহন আমার নির্জনে।
পুড়ে পুড়ে ছাই বারুদ বাস্প
হবে গিলেটিন সুখ,
আগুন আজকে, পোড়াব তোমায়,
জ্বালাব প্রেমের মুখ’।
নবনিতা আজ উড়ো ঝড়।
এলোপাথাড়ি তুমুল আন্দোলনে প্রেমের আকাশ তছনছ।
রুদ্র বারান্দায় সিগারেটের ধোঁয়ায় আঁকছে,
নবনিতার নিখুঁত অভিমানী মুখ
শ্যামবর্ণার আভায় অভিমানের লাল ছায়া,
বর্ষার ভেজা সকাল হয়ে যায় অনায়াস-
সারা বুক জুড়ে বৃষ্টির আরাম...
রুদ্র,হাওয়ায় কবিতা পাঠায় নবনিতাকে-
‘একলা এখন লোডশেডিং-এ
তোমার কথা ভাবছি শুধু
ইচ্ছেমত উড়ান ঘুড়ি
মনের মাঠটা ফাঁকা ধুধু
তোমার মত ইচ্ছে আমার
জবচার্ণক আবিস্কারি
একটা শহর খোঁজ করে সে,
আমরা খুঁজি তরবারি
নদীর ধারে ঘর টা তো সেই
হারিয়ে ফেলা ছেলেবেলা
আমরা তোমার নোনতা চোখে
ইষ্টিকুটুম প্রেমের খেলা
প্রেমের কথায় মনে পরে
ঘর ছাড়া সেই বাউল সুর
মন জোছনা অঙ্গ তোমার
নিতার খবর? হৃদয়পুর !’
আজ কলকাতা, শ্রাবণী।
কারোর গায়ে এক ফোঁটা জল ও পড়বেনা।
দুজন তবু সমুদ্র আজ।
আজ কলকাতা বৃষ্টিতে ভাসবেই।
কলকাতা ।
আজ কলকাতা শ্রাবণী - একটা উর্দু শের মনে আসছে এরকম,
উত্তরমুছুনওয়হ ভুল গয়ে ইয়া য়ে উঁনকি অদা হ্যাঁয়
শিকায়ত ভী ক্যেয়া করে অপনী নসীব সে -
মঞ্জর এয়েসা বড়া হি দিলকশ গুজরা মহব্বত মে
কি তুম হাল হি পুছো তো বস আঁখে ভর আয়েগি
সুচিন্তিত মতামত দিন