
সংলাপ ১
-আমার ভয় করছে হরেণ, আশেপাশে কোন স্বপ্ন নেই, সব পথগুলো যেন হেঁটে চলে গেছে! অকল্যাণ আর রক্তের অরণ্য ।
-কাকে জিজ্ঞেস করি দিক নির্দেশনা! দীর্ঘায়ু রক্ষকেরা শ্বেতপুরীতে ফিরে গেছে । -দীর্ঘায়ু রক্ষক! -রাজা- মন্ত্রী, উজির- নাজির, পাইক- পেয়াদা... -আজ নৈশভোজে সুরা ও মাংসের ঘ্রাণ, মেহফিলে কস্তরীবাঁঈ আর নিজামি আতর । -হাত ধরে রাখো মৈথিলী, এখানে মানুষের ছায়া আছে, আছে জোনাক আলো আত্মারা । -বুকের ওপর সিনাই পর্বত! ঘাস -জঙ্গল বিদীর্ণ হও, একটু হাওয়া.. -শেষবাক্যে অভিসম্পাত রেখো না , হয়তো আমরা একদিন জোনাকি হবো, বিন্দু বিন্দু আগুন থেকে তৈরি করবো লাভাপথ ।
সংলাপ ২
-বড় তৃষ্ণা সাঁঈ সুরজল দাও, রূপের নহর ছেড়ে অমৃত পেয়েছি , তারই বন্দনা করি ঘুমজাগরণে ।
-তোমারে দিয়েছি এক আশ্চর্য পুঁথি, সাগর মন্থন করা পরমায়ুরস । তারে আলিঙ্গন করো শুদ্ধ হও অমর অগ্নিতে ।
-ধন্য আমি, নতজানু, এই দ্রাক্ষারস আমৃত্যু রেখে দেবো আরতির ধূপে; ঈশ্বর মেনেই তারে সুরমন্ত্রজাল, অর্ধাঙ্গ মেনেই হবো সাধনসঙ্গিনী ...
ঢাকা ।
বড় তৃষ্ণা সাঁই, সুরজল দাও -
উত্তরমুছুনহয়তো আমরা একদিন জোনাকি হবো , বিন্দু বিন্দু আলো থেকে তৈরি করব লাভাপথ ---
উত্তরমুছুনদুটি লেখাই মুগ্ধ করলেন কবি ।
ভাবনার সাথে শব্দের অপূর্ব বিন্যাশ --
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন