
উমা
মা,আজ তুমিও আমায় বললে,
“গলায় দড়ি জোটে না তোর?”
জোটে মাগো,দড়ির দাম আর ক’পয়সা বলো ?
কিন্তু বেঁচে থাকার যে বড় সাধ মাগো!বড় লোভ!
বন্ধ দরজা,বোনটাকে আমার সঙ্গে শুতে দাওনা আর,
খুব একা একা লাগে,দম বন্ধ হয়ে আসে।
দেয়াল ঘড়ির একটা ছায়া পড়েছে দেয়ালে,
একটা টিকটিকি একটা পোকা ধরে -
মুখে পুরল সেই অন্ধকারে ,
টেবিলে জলের গ্লাস,ঠাণ্ডা ভাত,তেলাপোকা ......
আমার আজ একটুও খিদে পায়নি মা,
অভিমান করে বলছিনা,সত্যি পায়নি,
আমি আর অভিমান করিনা মা;
আর টেরও পাইনা,আমার হাত,পা,চোখ,জিহ্বা......
শুধু একমাত্র হৃদয়টাই ঘড়ির টিকটিক শব্দের সাথে
তাল মিলিয়ে জানান দেয়...আছি......আছি......আছি ......
কোর্টপাড়ায় আজ খিস্তি ওড়াচ্ছিল উকিল,
কামিজের বোতাম,ঊরু,নখের আঁচড়,হাঁটুর রক্ত,
বুকের কালশিটে,ঠোঁটের ক্ষত.........
তোমার মুখে কী লজ্জা মাগো!মুখ ঢেকে আঁচলে,
হয়ত বা কাঁদছিলে।
জন্মেই কি ভুল করেছি মা আমি......আমরা?
অনেকদিন বাবা আমায় উমা বলে ডাকেন না,
বোনের চোখে চোখ পড়লে চোখ নামিয়ে নেয়,
তুমি আমার মাথায় হাত রাখোনা কতদিন,
আমি কি খুব কুৎসিত হয়ে গেছি মা? খু ...উ...ব?
এত কান্না!এত কান্না! ঘরময় যেন অথই সাগর।
ওদের সাথে লড়তে পাড়ি মাগো,
কিন্তু তোমাদের সাথে?
শুধু কি মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলেই......
তবু আমি লড়বো,নিজের জন্য দড়ি কেনার আগে
ওদের গলায় ফাঁসির দড়ির বন্দোবস্ত যে আমাকে -
করতেই হবে মা।
ততদিন পর্যন্ত আমাকে সহ্য করো।
ঢাকা ।
খুব সুন্দর এক্তি কবিতা --- যুগোপযোগী
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর একটি কবিতা ---- যুগোপযোগী একেবারে
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন