
“অপূর্ব এই পৃথিবী”
ছায়াঘেরা অন্ধকার ভালোবাসে আঁধারের আঁচল
যখন সময় ছুটে চলে রুদ্ধশ্বাসে এক নিমেষে
তখন,
বেপরোয়া অন্ধকার মাকড়সার জালের মতন বুনতেই থাকে
নগ্ন খিদে মাখা চাঁদের চকমকে আঁচল-
বিবস্ত্র স্বপ্নগুলো মাছিদের মতন ভনভন করে কাঙাল হয়ে
হাত বাড়ায় খাবারের দিকে-
পাঁচতারা হোটেল ঘর থেকে আকাশটাকে বড্ড কাছে লাগে
এঁটো ন্যাপকিনটা দুমড়ে মুচড়ে নতজানু হয়ে থাকে –যেন নির্বাক চলচিত্র
কত্থকের নূপুরটা আজও গোছানো সেই ট্রাঙ্কে – ইস্তিরি করা কাপড়ের ভাঁজে
শুধু ঝুমুরগুলো আলগা হয়ে গেছে
আস্তে আস্তে রাত যত গভীর হয়
উজানের টানে কুলে এসে ঠেকে ফুলে ফেঁপে ওঠা পচাগলা দেহটা
এই তো সেই-
যে শুয়ে ছিল সরীসৃপের মতন রক্তাক্ত স্বপ্ন যন্ত্রণাকে জড়িয়ে পাঁচতারার ডাস্টবিনের পাশে
“শুধু নিস্তব্ধে বলে চলেছিল –
অমাবস্যা পূর্ণিমার পাশাপাশি
আমারও দেহে জোয়ার ভাঁটার টান আসে
তখন,
কুয়াশা ভেজা রাতে নকশিকাঁথার ওপর আমার অক্ষরগুলো এলোমেলো ভাবে খেলে চলে –
আর হায়নারা দল বেঁধে আন্দোলন তোলে আমার দেহে”...
কুমারী মাটির দুর্গন্ধে রুমাল চাপা পড়ে
পাঁচ তারা হোটেল ঘরের জানালায় –
চিৎকার করে রাত বলে ওঠে –চিয়ার্স”...।।
কলকাতা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন