এ বি এম সোহেল রশিদ






বিপন্ন মানুষের মন 



বিষ যুক্ত দিনরাত কিংবা ভাবনার ভিতর নীল বিষ তার নাম বিষণ্ণতা।সত্যি কি তাই? আমি অতশত বুঝি না। দুঃখকে দুঃখ বলি। কষ্টকে কষ্ট বলি। বিচ্ছেদকে বিচ্ছেদ বলি। বিরহকে বিরহ বলি। আর সব মিলিয়ে যা দাড়ায় তাকে বলি বিপন্ন মানুষের মন । । মানুষ মানুষকে যে আঘাত দেয় তাতে সুখের ক্ষরণ হয়।বিচ্ছেদের সূত্রপাত হয়। একে বিরহের আঁতুড় ঘরও বলা যেতে পারে।

কষ্টসহিষ্ণু মন আমার।সুখ বুঝি না। সুখের আহ্বান বুঝি না ।দুঃসময়ে হাত বাড়িয়ে দেই ।আমার অসময়ে কেউ হাত বাড়ালে তাকে তা কি ভোলা যায়? 
এই যে সুখের জ্যোৎস্নায় পূর্ণিমার চাঁদের মত মন। সেখানেও মেঘের আনাগোনা। মেঘে আর চাঁদের লুকোচুরি আমাকে শঙ্কিত করে না।কিন্তু ঝি ঝি পোকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ঝি ঝি পোকার কথা মনে এলে। মনে পরে জোনাকির কথা। নীরবে অকৃপণ ভাবে আলো বিলিয়ে যায়। রাতের সরীসৃপ প্রাণীকে পথ দেখায়। কিন্তু কেউ কি একবারও জানতে চেয়েছি তার কাছে তোমার পশ্চাৎদেশে কিসের আগুন জ্বলে।জোনাকিরা নিজেদের দুঃখের কথা কাউকে বলে না । তাদের সমাজে কোন দুঃসংবাদ বা খারাপ সংবাদ কোঠর গোপনীয়তায় গোপন রাখা হয়। এটাই নিয়ম। তাই জ্যোৎস্নার সাথে পাল্লা দিয়ে অমাবস্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জোনাকি আলো বিলিয়ে যায়।

মাঝে মাঝে ভাবি হয় না কেন জোনাকির মত মন ! সারাক্ষণ মেঘের আঁচলে রোদ ছায়ার খেলা! বিব্রত মুখ।আশ্রয়হীন চারপাশ।কখনও রোদ কখনও বৃষ্টি! বারোমাস অনাসৃষ্টি!কয়েকটা শ্রাবণের বিনিময়ে আসে শরত! জীবন মানেই কসরত! 

তবু বৃষ্টিই আকাশ মৃত্তিকার যোগাযোগের একমাত্র সহায়ক। মৃত্তিকা ভিজে তৈরি হয় আগামীর জন্য! ফলায় ফসল ! আকাশ মৃত্তিকার সঙ্গম মানেই বৃষ্টি ! যত সঙ্গম তত বৃষ্টি। যত ফসল ততো হাসি! চলে ভালবাসাবাসি !

পুড়ছি আমি আর জোনাকি! উভয়ে এক সাথে হচ্ছি নিখাদ!পুড়ে পুড়ে খাটি হয় সোনা! খাঁটি হয় ললাটের লেখাজোখা! পোড়া পথে পটে আঁকা ভবিষ্যৎ রচিবে সখি আর সখা!

সুন্দর আগামীর জন্য বিকেলের শাসনে লালচে সন্ধ্যা রক্ত ঝরায় কয়েক ফোঁটা ! দিগন্তে দেখ এখনও রক্তিম ভালবাসার চিহ্ন ।

সারারাত আলো জ্বেলে বসে থাকে হাজার তারা ! ভরা পূর্ণিমায় দেউলিয়া সুখ পরিশোধ করবে সমস্ত ঋণ!অপেক্ষার হবে অবসান! মন তুই সাবধান!

ঢাকা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.