
প্রেম পত্র
রোদের কাছ থেকে চিঠি এলো ,তাতে বিস্তর লেখা, প্রাণের গোপণ ডালা বেয়ে যেন চুয়ে চুয়ে পরছে। রোদ আমায় ভালোবাসে সে কথা আমায় জানাল। আমি ক্রমশঃ উষ্ণ হচ্ছি তার নিবিড়তম স্পর্শে ,যৌবনবতী হচছি। রোদের প্রানে গিয়েই আমার প্রাণ মিলছে। সেখানের যত কথা পাতাতে ভরে সাজছে। ঠিক সকালে ঘুমঘুম ভোরে চড়ুই পাখীই বুঝি হবে নূপুরের ছন্দে কথা বলছিলো আমার ছোটট বুকের ভেতরে। বলছিলো তুমি কেন একা হবে, উঠে এসে দেখো তোমার টবের জীর্ণ গাছগুলোতে নতুন পাতা মেলছে, জানালাগুলোকে খুব করে খুলে দাও -দুদিনের তো পৃথিবী।
ঘরের আসবাবে হাত দাও, কত না ধূলি পরে গেছে। ওরা ঠিক ধূলো নয়, হৃদয়েরই ধূলো যা তোমার অজ্ঞাতে জায়গা করে নিয়েছিলো, আসলে ঘরের প্রতিটি কোণ কোন না কোন ছলে তোমার মায়াভরা হাত চায়। আর তোমার পদযুগোলের সঞ্ছালনে মাটিগুলোও সুখ খুঁজে -সে যে দেখে তুমি কি করো বা না করো। তুমি কি করে একা হবে ঝিলি বুক ভরা হাহাকারে সময় কাটানো কি লজ্জার! আজও তুমি আকাশ দেখো -সেখানের নীলে পাখিরা যখন উড়ে তুমি নিজের ভেতরে ডুব দাও। জানি তোমার ইচ্ছা করে ফুল কিনে টেবিলে সাজাতে আর প্রতিদিনের করে।
শীতের মৌসুমে ফুল কম হয় ,দোকানের দাম তোমাকে বিকায় না (সাধ্যের বাইরে) ছোট ট একটা দীর্ঘ শাস ফিরে আসে বিনা ফুল নিয়ে। তবে হৃদয়ের তন্ত্রিতে যে ঝরণা বয়ে চলছে সে তো অনেক কিছুর থেকেও দামি | সেই ঝর্ণাধারার উর্ধালোকে যিনি বসে আছেন তাকে প্রনাম জানাই, মনে হয় অনেক ভাল ভাবেই বেঁচে আছি অনন্তের সুখটুকুকে গায়ে মেখে। শুধু আফছোচ অনন্তগািমী হয়ে অনন্তের পথে প্রভুকে দেবার জন্যে উপযুুক্ত ফুলের সাজিটাই আমার কাছে নাই। প্রভু বা দয়ালকে বলি পার করার মালিকও সেই তুমিই _ওটুকুর জন্যে কেনই বা আমার নিজের উপর ভরসা করতে হবে -তুমি আছ বলেই তো আমার এই নিশ্চিন্তের যাত্রা -
নিউজিল্যান্ড।
সুচিন্তিত মতামত দিন