.jpg)
মেঘ বালিকা

দূরন্ত দূর্দিনে
যায় কি বলা কিছু কথা ?
শুনতে যেনও না পায় মেঘ বালিকা ।
আজ দীপ যদি জ্বালি দ্বারে
নিভে কি যাবে তা বারে বারে ?
শুনতে যেন না পায় মেঘ বালিকা !!
মেঘ যখন ডাকে গুরু গুরু
আচম্বিতে কেঁপে উঠে বুক
কাহারে দিবো দোষ ?
শুনতে যেন না পায় মেঘ বালিকা !
বৈশাখের শেষে
পাকা ধানক্ষেতে,
কৃষক কৃষাণী যখন উঠছে মেতে
নবান্নের উৎসবে,
তখন ছল ছল বৃষ্টির জল ধুয়ে দেয়
নিম্নাঞ্চল,
গ্রামের পথে যাবে যখন
খোলা থাকবে কি তখন,
কোনো কৃষাণীর ঘরের দুয়ার ?
শুনতে যেন না পায় মেঘ বালিকা !
যাবে যদি যাও,
চাইলে নিতে পার সাথী করে;
আমি তো ঘরের দুয়ারে বসে
একাকী ভাবছি,
নেই গৃহস্থালি,যদি লাগি কারো কাজে,
পথ হউক যতো অফুরান
ভয় করিনা ,করিনা ভয় !
শুধু শুনতে যেন না পায়
মেঘ বালিকা !!
কবিতার খাতা

সব ভাললাগা উঠে আছে
দক্ষিণা জানালায়,
সেই থেকে আমি অপেক্ষায় আছি
কবিতার খাতায় ।
যদি তাকে নিয়ে লেখা যায়
একটি কবিতা !
দিয়েছি প্রান আমি উজাড় করে
কবিতার খাতায় ।।
প্রিয়তম,
মার্জনা করো;
দিয়েছি এ অন্তর
তাই ছুটে যাই, ছুটে যাই...
উতলা হৃদয় মোর;
কিছু পারে না ঢাকিতে,
যা কিছু আছে মোর,
রেখে যাই...রেখে যাই
কবিতার খাতায় !
তুমি তুলে নিও হৃদয়ে ,
করোনা মোরে বঞ্চনা,
আপন গুণে করো মার্জনা ।
যদি ভালোবাসিয়া করো সোহাগ,
সোহাগের স্রোতে যাবো ভাসিয়া ।
প্রিয়তম,
যদি নাই পারো ভালোবাসিতে
নিরুপায় আমি,
নগ্নহৃদয়বেদনা দুহাতে ঢেকে
দ্রুতচরণে
শরমে লুকাব আঁধার মরণে !!
আর কবিতার খাতায় লিখে যাবো
যতো প্রণয় কথা......।।
হৃদয় চিনেছিলো তোমাকে
আমি যেতে চাইনা স্মৃতির পাতায়
স্মৃতির গাঁথুনিতে কেবল আসে
সে,
কিভাবে সরাবো তাকে
মনের আংগিনা থেকে ,
যে ছিল গৃহহীনা বোবা বাসরে
রাত্রি অন্ধকার আর ঘুম চোখে বুজে যাওয়া
চোখের পাতায় রেখেছিলো চুম্বন !!
আলো –আঁধারের রক্তিম খেলায় ,
লোকে লোকারণ্য সভায়,
যা ছিল একেবারেবেমানান,
তবুও হৃদয়ে জেগেছিলো স্পন্দন !!
নিরাশার পথে উৎসাহ বাঁচিয়ে রেখেছি
তার হাতে হাত ।
অগ্নিপরিক্ষার মত কেবল সময় করেছে
দাহ
প্রত্যক্ষ অনুভব করেছি পরিচিতের মত
সমাজ-সংসার সর্বত্রই
মাঝে মাঝে উৎকণ্ঠিত হয়ে
জেগে উঠেছে হৃদয় ।
কৈশোর শেষ না হতেই হৃদয় চিনেছিলো
তোমাকে,
তাই বাঁধভাঙ্গা যৌবন তোমাকে চেয়ে
করেছিলো কি
খুব বেশি অপরাধ ?
সাধারণ কথা
জীবন সরল নয়,
সকলেই সকলের জন্য
আবার কেউ কারো নয় !!
ঢাকা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন