ইন্দ্রাণী সরকার







কুম্ভকর্ণের ঘুম

কুম্ভকর্ণ ঘুমাচ্ছিলো নাকে দিয়ে খুব তৈল
সবাই বলে, ও বাবা গো কি যে এখন হইল !
দিনের পর দিন চলে যায় মাসের পর মাস
ঘুম ভাঙে না, কি করা যায় এ কি সব্বনাশ !
কেউ তারে দেয় সুড়সুড়ি কেউ বা মারে চাঁটা
কেউ বা আবার হাত পা তুলে মারতে থাকে ঝাঁটা |
রাবন রাজা হন্যে হয়ে আনেন ডেকে বদ্দি
বদ্দি ভায়া আসেন সেথায় নাকে নিয়ে খুব সর্দি |
নস্য নিয়ে হ্যাঁচ্ছ করে বলেন বদ্দিমশায়
"ঘুমের ওষুধ খুব খেয়েছে নেই ত' কোন উপায় |"
রাবণ কেঁদে হাত পা ধরেন, পড়েন তাঁহার পায়
"দোহাই বাবু, please আপনি করুন একটা উপায় |"
বদ্দি বলেন, "বাজাও জোরে কাঁসর আর ঘন্টা |"
বাজনা শুনে কুম্ভ ঘুমায়, যায় অন্যের কানটা |
রাবণ বলেন, "বদ্দিমশাই, ভাইটা আমার হ্যাংলা |"
"এতদিন যে না খেয়ে সে হয়ে যাবে খুব প্যাংলা !"
বদ্দি বলেন, "এইতো ভায়া দেখছি এবার উপায় |"
"ভালোমন্দ রান্না করে ধর ত' নাকের ডগায় |"
রসুই বামন রান্না করেন আহা কি যে তার গন্ধ !
এবার কুম্ভ উঠবে জেগে নেই কোন তায় সন্দ |
যেইনা এনে রান্নাগুলো নাকের কাছে ধরা
কুম্ভ বাবু চোখ খুলে চায়, ঝিভটা জলে ভরা |
বললো বাবু তেড়েমেড়ে, "দুষ্টু হতভাগা |"
"খাবার আনতে এত দেরি দেব পিঠে দু' ঘা |"
"খেলামই না হয় ঘুমের ওষুধ তাই বলে এই ফন্দি ?"
"দাঁড়া বেটা খাবার পরে করবো তোদের বন্দী |"
হে ভগবান, এ যে দেখি ভাল করতে মন্দ |
তবুও ভাল করবো মোরা কেনই বা এই দ্বন্দ্ব !

- নিউইয়র্ক - 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন