
অন্বেষণ !!
একই গগনে অভিন্ন বায়ুমণ্ডলে সমগোত্রীয় ঋতু, তেমনি
তোমার চেনা ফাগুনে চোখ,
চেনা নাসিকার প্রত্যয়ে শ্বাস প্রশ্বাস
হলদে সোনায় প্রলেপিত কপোলে কুচি কুচি মুক্তো ঘাম ।
শীতলে ,
অরুণিমা সরুফালি ঠোঁট , ললাটে বাঁক খাওয়ানো এলো কেশে
হে’ পরম প্রিয় ।
তুমি আসবে জেনেই যত আয়োজন - অপেক্ষায় – সবুজায়ন,
রৌদ্রে মিনা করা ধানের শীষ
নেচে বেড়ানো সর্ষে ডগা -
বুনো কলমির ছায়ায় মোড়ানো আল পথ
চেয়ে থাকা দুটি চোখ
তোমায় বরন করব ভেবে ।
নীরব অঙ্গীকার করেছিলে পত্র পাঠে ,
তুমি আসবে - ভাসিয়ে নেবে তোমার স্রোতে
খুঁজে দেবে পদ্মায় ঘুমিয়ে থাকা
ঝিকিমিকি রুপোলী ইলিশ ।
বিনয়ে, আমি দেব তোমার স্নায়ুকোষে
শব্দের পুষ্টি ,উদার কণ্ঠ
দানা বাঁধতে তোমার স্লোগান
কণ্ঠে বইবে জীবনের জয়গান ।
প্রহরে... প্রহরে , উৎকণ্ঠায় - শরীরে
রৌদ্রের কালসীটে দাগ , ক্রমশঃ
অস্পষ্ট হয়ে আসে সবুজায়ন
হাল ছেড়ে দেয় বাতুল বায়ু ,
শরীরে বাসা বাধাঁ নোনা জল -
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে উপড়িয়ে ফেলি শৃঙ্খলতা ।
মুহূর্তে ,
গর্জে ওঠে জলপাই রঙা সব মানুষ
দু প্রান্ত থেকে তাক করা বেয়ানট - অন্বেষণে তোমার কথা বলি
তোমাকে দেবো ভেবে, বয়ে নেওয়া হাজারো শব্দে
রবী ঠাকুরের কথা বলি ,নজরুলের কথা বলি
জসিমুদ্দিনের কথা বলি –
ওরা হাসে!
বিশ্বাস করো ,
নিমিষে সুকান্ত থেকে শামসুর, সুনীল থেকে হেলাল
পরম পূজনীয়দের কথা বলি ।
কেউ শোনে না -
জননীকে খণ্ডিত করে দেওয়া সীমান্তে
কথা বলে শুধু ভূগোল - কথা বলে কারবাইন ।
আবেগ এখানে স্বদেশের অতন্দ্র প্রহরী
ভাবাবেগে রবী নজরুলে নয় জরুরী ।
লঙ্ঘিত শূন্য ভুমি’র দণ্ডায়মানে -অবশেষে গর্জে ওঠে কারবাইন
বুকের ভীত সুদ্ধ উপড়িয়ে মুখ থুবড়ে পরা
জীবনানন্দে শিখা হীন দীপ ।
চির নিদ্রিতে আমার চোখ ,
অবসানে দৃষ্টিহীন অপেক্ষা ...
তাই ,
এখনো অপেক্ষায় ধরিত্রীর শিরদাঁড়ায়
ঠায় দাঁড়ানো বিকেল
যদি তবুও আসো , অন্তত একবার -
এই উন্মাদের কাছে বসো
ঝাঁঝরা পাঁজরের শিরা উপশিরায় দেখো
হাজারো শব্দের মেলা
ছড়ানো ছিটানো শব্দ গুলিতে মানুষেরই কথা বলা ।
হে যুগ যাত্রী ,
তোমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির
প্রতিটি শব্দ যেন এখন আমার শেষ যাত্রায় –
এই নির্জনতায় আরও একবার
অঙ্গীকারে সাহসী হও তুমি
আমার রক্তেই শুরু হোক আঁকা আল্পনা
গড়ে উঠুক সৌহার্দ , ভালোবাসা
মিলিত হোক আমাদের বঙ্গ ভূমি।
( পরিবর্তিত )
উত্তরবঙ্গ ।
পড়ে মনে হল ----
উত্তরমুছুনসীমানা মৌন রাখো / কলসির জলে কাব্য হয় না
ধন্যবাদ নামহীন ,লেখাটি পড়ার জন্য । আরও ভালো লাগতো সামগ্রিক বিশ্লেষণ করলে , অন্তত ভুল শুধরে নিতাম ।
মুছুনsundar lekha
উত্তরমুছুনধন্যবাদ সুহৃদ ।
মুছুনসুন্দর শিল্পকর্মের জন্য ধনবাদ। শুভ কামনা থাকলো।
উত্তরমুছুনপ্রীতি সম্ভাষণ আপনাকেও । আপনার উপস্থিতি আপনার উপস্থিতি শব্দের মিছিল কে আরও মুখরিত করবে ।
মুছুনকি করে লেখ তুমি -- জল বায়ু , ভাষা , সাহিত্য আর বাঙ্গালীর তীব্র আবেগ পঞ্জিভুত করে দুই বাংলার মিলনের যে স্বপ্ন - আমাকে সুখী করে ।
উত্তরমুছুনসুখের জন্যই তো পঞ্জিভুত এই জলবায়ু । ধন্যবাদ মিস সেন ।
মুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন