আত্মলীন হয়ে আছো অন্তরে

আতরদান ভেঙে গেলে অভ্রমাখা ডানা
এসেই যায় তেমন করে,
যেমন করে চব্বিশ টা দিন
টানটান উল্টো মুখে
বাকিদের সাথেই খায় ঘুমায়
খুচরো অথবা জমাট ইতিহাস পাতায়।
পঁচিশের সকাল আমাকে নামিয়ে আনে
খোয়াইয়ের পাড়ে, লালমাটি র কতকথা
ফুঁড়ে ওঠা টুকরো পাথরে,
চাঁদ হাতিয়ে যেটুকু সম্মতি আদায় করি,
আমার চোখ এক পা দু পা করে
এগিয়ে যায় বজরা র দিকে,
শিলাইদহ এখনো ঢের দূর, জোব্বা পরে
সৌম্য ঋষি ধ্যান মগ্ন পরিধি বৃত্তে,
বিষাদ, আনন্দ, সৌন্দর্য -সব সব কুড়িয়ে রাখি
হৃদপিণ্ড, শিরাধমনীর অলিতে গলিতে।
এতো মায়াময় স্বপ্ন যখনই
আমায় ডুবিয়ে রাখে ভাসিয়ে রাখে,
তখনও আমি সামান্য দর্শক।
রাত কি তবে পোহালো?
দারুন অগ্নি বাণে কেন এতো তৃষ্ণা?
অগোছালো হয়ে ওঠানামা করায়
অপচয়মুক্ত একটা দিন-ক্রমাগত আমি
লিপিবদ্ধ হয়ে থাকি নানা চরিত্রে।
আদতে তোমায় ছাড়া থাকা
মানে, আমার ডুবতে রাজি হওয়া,
মানতে পারিনা, তুমিই বলো-
দিনক্ষণ মানা কি পোষায়- এই অসম্ভাব্যতাই ,
তাইতো পঁচিশে বৈশাখ মানে
তলিয়ে যাওয়া, প্রচন্ড ভাবে
দেহবলয়ে তরল হয়ে ওঠা
নিজের কাছে, এক থেকে হাজার
মূহুর্ত দুয়ার ভাঙে -
ঢেউস্বপ্ন গুলোর আড়াল পেলে।।
কলকাতা ।
khub sundar kobitati
উত্তরমুছুনKobitati sattie asadharan!
উত্তরমুছুনবিষাদ আনন্দ সব কুড়িয়ে রাখি , হৃদপিণ্ড শিরাধমনীর অলিতে গলিতে -- ভালো লাগলো ।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন