
দেহতত্ত্ব পাঠ
সময় করাত কাটে আয়ুরেখা
ধারণ করে জলবায়ু
বৃক্ষকান্ড লিখে চলে চক্রবৎ গাঁথা।
লন্ডন মিউজিয়ামে দেখা ফেরাউন মমি ফিসফিসিয়ে
শুনিয়েছে আমায়-
'বৃক্ষের মতো মানবদেহও ইতিহাস ছোঁয়া,
গুঢ়তত্ত্ব জানতে চাও পাঠ করো আমায়।'
ফেরাউন নই আমি
মাটির শরীর মাটিতে মিশে যাবে নিশ্চিত;
যদি পার এসো একবার শেষদিন,
লোবান-খুশবু শরীর পাঠ করো
শেষবারের মত-
জেনে যাবে অন্তহীন ভালোবাসায় এখনো
জড়িয়ে আছি আমি তোমায় ।
অলীক ধ্রুব
আইনস্টাইন শোনায় আপেক্ষিকতত্ত্ব
যার যার হাতে মাপো সময়-
আমি বলি, হও শতায়ু তাতে কী !
দ্রুতই ফুরোবে সময় তোমার আমার
বদলে যাবে ভালবাসার রঙ ।
সসীম চোখে সাঁতার কাটে অসীম খোয়াব
কপালভাঁজ বলীরেখা জানে সত্যকাহন
প্রপঞ্চ ছুঁয়ে যায় উদাসী ঈশ্বর ।
ধরে আছি তবু আমি অলীক ধ্রুব ।
অব্যাখ্যাত হয়ে আছো তো বেশ
অন্ধকারে কালো বিড়াল হাতড়ে বেড়াই
আইনস্টাইন মন কষে অংক- বুনে জাল অলগরিদম
অর্জুন নিশানায় শেষটায় পড়ে ধরা অসহায় বিড়াল ।
সিজোফ্রেনিক নয় মেঘ মন
তবু উদাস এলোমেলো- ছেয়ে যায় শরৎ আকাশ
আবহাওয়া বিজ্ঞান জানে তত্ত্ব ।
তিলে তিলে তিলোত্তমা
দুচোখে তৃপ্ত নয়, খোলে ইন্দ্র হাজার চোখ
রূপসুরা পানে হয়ে ওঠে সে রসময়।
তৃতীয় চোখে আমিও দেখি তোমায়
জ্বালায়ে হাজার হ্যাজাক বাতি
খুঁজি তোমার 'দেবা ন জানন্তি' মন অতল ।
বিমূর্ত গণিত মন তোমার
অব্যাখ্যাত হয়েই আছো তো বেশ -
আমিও আছি মজে মায়াজালে ।
ঢাকা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন