সূচনায় সমাপ্তি ...
মফস্বলের এক এঁদো গলির পোড়ো ভাড়াটে বাড়িতে আমার জন্ম ,
বাবা নাম রেখেছিল বন্যা,
না, কোন লাবণ্য সঞ্চারিত আভা, আমার নামের কারণ নয়।
বর্ষার বন্যায় সে বছর আমাদের গ্রামের বাড়ি ভেসে যায়।
বাবা, আমার অন্তসত্বা মাকে নিয়ে পালিয়ে আসে শহরে।
আমার জন্মে শাঁখ বাজেনি কোন।
আমার কৈশোর কাটেনি রূপকথার মায়াবী জগতে,
মুগ্ধ চোখে ছুটে আসেনি পাগল প্রেমিক।
নামের পাশে বিদুষী শিক্ষিতা স্ট্যাম্প লাগেনি,
কোন স্নেহশীলার নির্মল সুগন্ধ ও পাইনি আমি।
তবু আমার নাম বন্যা।
মেয়ে জন্মের পাপে মা কখনো আমায় বুকে টানেনি।
পালিয়ে গেছিল গ্রামে, ভাইয়ের জন্মে শুনেছি গ্রামে ভোজ দিয়েছিল দাদু,
আমার জন্মে সংসারে সোনার ঢেউ বা জলোচ্ছাসের প্লাবন কোনটাই আসেনি।
পিসির সংসারে অহেতুক ঝি বৃত্তিতেই কেটেছে জীবন।
তবু আমার নাম বন্যা।
তোমাকে পড়ার বা জানার স্পর্ধা হয়নি কখনো।
পাড়ার এক জেঠু বলেছিল ,
‘বন্যা মানে জানিস? ভালবাসার আছড়ে পড়া লাবণ্যে, মিতার বন্যা’
এ জটিল কথার সাত পাঁচ বুঝিনি কিছুই।
পিসতুতো ভাইয়ের টেবিলে রাখা তোমার ছবিতে
পঁচিশে বৈশাখে দিয়েছি পুজোর ফুল ।
আর তো কিছুই জানিনা, আর কিছুই পারিনি।
প্রথম যখন প্রেমে পরি, মার খাই পিসির ,
সেদিন তোমার একটা লাইন ও মনে আসেনি।
প্রেম যেখানে পুজো হয়েছে সেখানেই নাকি তুমি অমর।
সে অমরতা কলেজ পড়ুয়া স্নিগ্ধ দীপ্তির জন্য।
আমার তো জলের তোরে জন্ম,
ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য বেঁচে থাকা।
রবিঠাকুর আজ আমার জন্য তুমি তো নও।
সত্যি করো বলতো আমার জন্য কি করতে পেরেছ তুমি।
যে তোমায় ছোঁয়ার অধিকারই পেল না
সে কি করে তোমার হবে?
আচ্ছা, তুমি কি কখনো তার হতে পেরেছ?
কলকাতা ।
durdanto lekha --- somajer prekkhapote .
উত্তরমুছুনdhonyobad
মুছুনআগে একবার পরেছিলাম । নেট স্লো লিখে যেতে পারিনি । অভুতপুর্ব লেখা আপনার ।
উত্তরমুছুনআন্তরিক কৃতজ্ঞতা ...
মুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন