দেবজিত সাহা








জীবন



এক শকুনে সময় দিয়েছে যে ক্ষত আমায়
স্বাভাবিক ছিল না চিরকালের মত, তাই
তাকে বলি অদ্ভুত।এই অস্বাভাবিকতার
কারন খোঁজা ছিল বারন, যে সূর্য প্রতিদিন
আমায় ছেড়ে  চলে যায় সেও ছিল দাঁড়িয়ে
দুহাত বাড়িয়ে ছলছল  চোখে।

ব্যাস্ত শহরের ফুটপাতে নীরবতা রেখে যায়
বিবর্তনে,সান্নিধ্যে আত্মারা। রক্তাত্ত কবিতায়
লেখা এক বিধ্বস্ত জীবনযাপন যেন এঁকে
যাওয়া কল্পনা, জীবনের লালরঙে।

ক্ষতগুলি ক্রমে বাড়ছে সাথে বয়ে চলা ইতিহাস
স্বপ্নে দেখা সেই পরিবেশে সুবিধাজনক অবস্থান।
আহা কি দারুন! তোমার আমার জীবনযাপন ।

এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত যাতে চলছে প্রেমের বন্দনা
জুড়ছে চারহাত তাতেও রয়েছে পরিকল্পনা, দেহভোগের!
চেতনাভোগের লক্ষ্য রয়েছে কি সবার ?

যুক্তি তর্কে তুমি এগিয়ে মানি আমি, তাই তুমি
পেড়েছ যেতে সব বাধা পেরিয়ে, কিন্তু মানি
এটাও, যে হবা সহমত  যেদিন থাকবা আমার
মত সাদা পতাকা হাতে দাড়িয়ে।

আমি আশা করি না ধরিনা বায়না
লড়ি না সে লড়াই যা নিজের সাথে নিজের।
কিন্তু আমারও চোখে নামে জল চোখ হয় ছলছল
নিজ লড়াইয়ে নিজেকে হারতে দেখে।
যদিও পরক্ষনেই জল মুছে বলি আমি বেচে আছি !।

এক ছিল উজ্জীবিত প্রান সেও আজ ম্লান
মুক্ত চেতনা ঘুমের ঘোরে বাতাশে মিশে
জ্বালিয়েছে যে আগুন, শুনছি আজ নাকি
তাতেই তাকে পুড়িয়ে মারা হবে, এই খবর
ব্যাপারে আমায় প্রশ্ন করো না প্লিজ।

আমি সমাজের এক অতিক্ষুদ্র নগণ্য অংশ,
রোদে ঝলসে দেওয়া  পৃথিবী মায়ের  এক
অযোগ্য সন্তান ।  এই লেখা মুছে যাবেই
এই নাটকীয় রঙ্গমঞ্চ থেকে, কিন্তু বিশ্বাস
আছে আমার তুমি লড়বে , তোমার দেহের
ক্ষতগুলি লুটাবে তোমার পায়ে। সেদিন মুক্ত
হব আমি এই কালবসন্ত থেকে চিরতরে
অগোচরে।

শিলিগুড়ি ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন