
প্রণাম
"আমি পৃথিবীর কবি, যেথা তার
যতো ওঠে ধ্বনি
আমার বাঁশির সুরে সাড়া তার
জাগিবে তখুনি "------
আগত শুভক্ষণ, কবিগুরুর জন্মলগ্নে আরো একবার হৃদয় প্রাংগণে বেজে ওঠে -"নব আনন্দে জাগো "।
আপামর রবীন্দ্র অনুরাগী র কাছে বিশ্ব মানব মিলন ক্ষেত্রে কবি স্বমহিমায় বিরাজিত। সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদের হৃদস্পন্দন এ জেগে থাকে একটি নাম -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যা ধ্রুবতারা র ন্যায় চিরন্তন।
তাঁর সুদীর্ঘ জীবন পথে নানা পর্যায়ে রচিত অজস্র গান, ছোট গল্প, নাটক, প্রবন্ধ, উপন্যাস -এক থেকে অনেক আত্মায় নিবিড় ভাবে আদর্শায়িত।
কবিগুরুর কবিতার মধ্যেই সমগ্র বাঙালি জাতি নিজের অপরূপ সত্ত্বার পূর্ণ উপলব্ধি করেছেন সময় নির্বিশেষে। তেমন ভাবেই কবির সংগীত নন্দন তত্ত্ব, সংগীত পিয়াসী সহৃদয় মননকে স্থান কালের উর্দ্ধে এক অনন্ত রাজ্যে উত্তোরন ঘটায়।
অনুরূপ ভাবেই কবির নৃত্যনাট্য-কবিতা, সুর, এবং নাচ একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ রূপে জড়িত। বিভিন্ন পর্যায়ের রচনায় প্রতিভাত হয়ে উঠেছে -বাস্তব জীবন চিত্র, যা এতো বছর অতিক্রম পরেও আমাদের সেই জগৎ চেনায় যার প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কল্পনায় স্মৃতি মেদুর হয়ে উঠি।
যখন আত্মা কে অনুধাবন করি হৃদয়ের অবিচ্ছেদ্য সূত্রে তখনই আমরা ধ্রুব কে পাই, তেমন করেই আমরা পেয়েছি কবি কে,আমাদের পরম সত্য কে। "এসো হে বৈশাখ "-এর আহ্বান নিত্য হয়ে ওঠে পঁচিশে বৈশাখের অবগাহনে। তাইতো -"হে নুতন দেখা দিক "-কবির জন্মলগ্নে বারংবার ধ্বনিত হয়।
চির নুতন, চির সবুজ, চির সুন্দর রূপে স্মৃতিচারণ এ কবি এক হৃদয় থেকে অপর হৃদয়ে গাঁথা মালিকা হয়ে থাকেন। আমার প্রানের ঠাকুর রবীন্দ্রনাথের প্রতি শতকোটি বিনম্র প্রনাম তাঁর শুভ জন্মদিনে।।
কলকাতা।
বিশ্বে প্রেম মৃত্যুহীন, তুমিও অমর
উত্তরমুছুনসুন্দর!
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন