ব্যানার্জী পর্না








"জোনাকিদের ঘর"

সমুদ্র গর্জনে নিঃসঙ্গতা কান পেতে শোনা যায়
জটায়ুর আবেগপ্রবণ প্রশ্নের জালে নীরার কালবেলার ছবি - ঘষা কাঁচে প্রতিফলিত হয়
জানিনা কে কতদূর যেতে পারবে রাত্রি হিম প্রত্যাখানের সাথে
ফুলের বাগান পেড়িয়ে -
মর্গের ঠান্ডা ঘরে যখন ফেরেস্তারা সাদা চাদর জড়িয়ে হৃদযন্ত্রবিহীন ঠান্ডা শরীরগুলো গরম করে
চিতায় পুড়তে থাকা মৃত শরীরগুলো হাহাকারে আর্তনাদ ছাড়ে
চাঁদের গা ছুঁয়ে জোনাকিরা পদ্মপাতায় নিশিরাতে স্বপ্নের ঘর বাঁধে
আড়াল করে রাখে কলঙ্কিনী চাঁদকে সমুদ্রসৈকতের তীব্র সুনামির কালো আঁখির মাঝে - ঝড় ওঠার আগে
পৃথিবীর ছায়া আকাশের সীমানায় যৌবনের জতুগৃহ সাজায় গোধুলি লগ্নে
রিক্ত ব্যথা আর পদপিষ্ট স্বপ্ন - পচা গলা বেওয়ারিশ লাশের দুর্গন্ধের সাথে হাত বাড়ায় একলা আকাশের দিকে
নীরব কবিতা শুধু কান পেতে শোনা যায়-
অমাবস্যার রাতে সমুদ্র সৈকতের ঝিনুকের রাত্রি স্নানে রাত পরীদের পাখায় জোনাকিদের আদরে ।


মুখবন্ধ…।।


হৃদয়টা হঠাৎ উন্মোচিত হয়ে যায় মুক্ত খোলা আকাশের দিকে
ফাঁকা যায়গাটা যে ছিল সেটা টের পেলাম এই মুহূর্তে
বন্ধ দ্বার খুলে গিয়ে উন্মুক্ত ছায়া ঘেরা প্রতিমূর্তি আমাকে কাছে টেনে নিল
সেটা না ছিল শব্দ- না ছিল নিস্তব্ধতা- না কোনো ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি
রাত্রি সমন জারি করল – ছুঁয়েও দেখল আমাকে
জ্ঞান আর অজ্ঞানতার মাঝে আত্মিক অনুভূতি আবদ্ধ থাকতে নারাজ
নিয়ন আলোর ছায়া যখন গাছের পাতাগুলো পেরিয়ে 
শূন্যতা নিয়ে আমার গায়ে এসে পড়ল 
তখন পৃথিবীর মাটি ফুঁড়ে উপছে পড়ছে চাঁদ তারাদের বিলাসিতার সঙ্গম
কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিচ্ছায়া আর নির্বাক পৃথিবী – অকল্পনীয় মন্ত্র মুগ্ধতা 
সবটাই চলমান- ফুলের স্তবকের মতন সুন্দর লাগে নিথর মৃত পাথরকেও
প্রথম স্তবকটা লিখেছিলাম-
বিস্মৃতির পথে হারিয়ে যাওয়া আমার ডানা কাটা পাখনার খোঁজে
পড়ে যে অস্পষ্ট ফলপ্রসূ অক্ষরগুলো নিজের থেকে বেরিয়ে আসে –
তারা নিজেদের রাস্তা নিজেরাই বের করে নেয়-
বিশুদ্ধ লাইন তারা তবু এখনও একটা কিন্তু - সারবস্তু এখনও মধ্যযুগীয় রহস্য
উন্মোচিত হৃদয় শুধু বাসা বাঁধতে চায় নিশ্চল শব্দের মাঝে...।।

কলকাতা ।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
  1. সেটা না ছিল শব্দ- না ছিল নিস্তব্ধতা- না কোনো ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি

    উত্তরমুছুন

সুচিন্তিত মতামত দিন