
" বিস্মিত ত্রি-নয়ন "
জ্বলে জ্বলে অঙ্গারিত গুমোট
নেশার বুদবুদে উবে যায় তিলক
দীঘল পথ বদলে যাবে ঝরা পাতায়
হোঁচট খেতে খেতে নতুন দিগন্তে পৌছায়,
জানি না ফুরাবে কবে এ চলার শেষ
দিনান্তে রাখবে কে হিসেব ছড়িয়ে নতুন আবেশ !
দেখতে কি পাও বিবর্ণ স্মৃতি ?
বুঝতে পার কি ঝরে যাওয়া মেঘের কান্না ?
সব না বোঝা, একসময় বোবা হয়ে ঝরে পড়ে !
পুরাতন পর্দা নতুন ঝালরে অনিমেশ শোভা বর্ধন করে
সহস্র ঝঞ্ঝাট স্বপ্ন বুননে প্রতিবন্ধকতা যোগায়
অমানিশার তীর বিলুপ্ত করে রূপালী আভা
আজও জানা হল না কিভাবে বাড়ানো যায় শোভা।
আচমকা ছায়াসঙ্গী নিজেকে হারিয়ে-
______________প্রশ্ন করে বসে !
আমার সৃষ্টি বলে কি কিছু হয় ?
বিস্ময়ে অবাক তাকিয়ে রই,
সৃষ্টিশীলতা যাকে শব্দের বেদীতে ঠাঁই দেয়-
তার মনে নিজেকে যাচাইয়ের অনভিপ্রেত প্রশ্ন !
নাইবা পেলে উত্তর শব্দের সীমায়-
পরিবর্তনের পশরা সাজিয়ে দিয়ে যাও অনবরত,
নিজ গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসে দেখ
অসংখ্য ভক্ত প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা খোঁজে
তোমার'ই একান্ত নিজস্ব গতিময়তায়।
অযথা প্রশ্ন নয়,
নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার কর
অসংখ্য ভক্তের সাজানো ডালির পশরায়।
স্মৃতির পাতায় দিলাম লিখে, ইচ্ছে পাখির কল্পনা এঁকে;
রঙিন দেয়াল রয় অমলিন বর্ণনাতে তুলনাহীন,
___________________ক্লান্ত রথ পাবে প্রান্ত
বুঝবে তুমি, বুঝবেই যখন হবে পরিশ্রান্ত।।
ঢাকা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন