
ছোট গল্প
আকাশ- কুসুম- কল্পনা

আর নিন্দুকেরা চেহারাটা মোটাসোটা ,ট্যাবাটোবা বলে বটে তবে হিংসা করে। অবস্থাপন্ন ঘরের আদুরে মেয়ে, তার ঐ ইয়ে মানে সুখী সুখী গোলগাল ফিগার হবে না ?
কল্পনাকে নিয়ে আকাশ কবিতা লেখে, শুনে কল্পনা মুচকি হাসে। আকাশের মনের আকাশে রামধনু ওঠে। কুসুম ভুজিওয়ালার দোকান থেকে গাঁটের পয়সা খরচা করে হরেক কিসিমের আচার,মোরব্বা কিনে এনে কল্পনাকে দিয়ে বলে
- ‘মায়ের হাতের বানানো ‘।
কল্পনা টাগরায় আওয়াজ তুলে, আরামে খায়। কুসুম তাই স্বপ্ন দেখে।অর্থাৎ কিনা আকাশ-কুসুম কল্পনায় বুঁদ হয়ে থাকে। ফলে বন্ধুত্বে ভাঁটা পড়ে।
দুজনেই ভাবে, কে আগে কল্পনাকে মনের গোপনে লালিত ইচ্ছার কথাটা বলবে, কিভাবে বলবে
- ‘তোকে ভীষণ ভালোবাসি রে কল্পনা, দিব্যি করে বলছি ।
‘
সেদিন ভ্যালেনটাইন্স ডে, পৃথিবীর তাবত প্রেমীকূলের ভালো বাসা-বাসির দিন। ক্যালেন্ডারে শুভ মধুমাস। আকাশ-কুসুম-এর আগে কল্পনাই ওর কাঁধের ঢাউস ব্যাগটা থেকে দু’টো কার্ড বার করে এগিয়ে ধরে মুখে সলাজ হাসি মাখিয়ে বললো,
- ‘আগামী ২৭শে ফাল্গুন আমার বিয়ে, আসবি কিন্তু! ‘
কলকাতা ।
-
দারুন মজাদার গল্প --------
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন