ব্যানার্জী পর্না








মুখবন্ধ…।।


হৃদয়টা হঠাৎ উন্মোচিত হয়ে যায় মুক্ত খোলা আকাশের দিকে
ফাঁকা যায়গাটা যে ছিল সেটা টের পেলাম এই মুহূর্তে
বন্ধ দ্বার খুলে গিয়ে উন্মুক্ত ছায়া ঘেরা প্রতিমূর্তি আমাকে কাছে টেনে নিল
সেটা না ছিল শব্দ- না ছিল নিস্তব্ধতা- না কোনো ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি
রাত্রি সমন জারি করল – ছুঁয়েও দেখল আমাকে
জ্ঞান আর অজ্ঞানতার মাঝে আত্মিক অনুভূতি আবদ্ধ থাকতে নারাজ
নিয়ন আলোর ছায়া যখন গাছের পাতাগুলো পেরিয়ে
শূন্যতা নিয়ে আমার গায়ে এসে পড়ল
তখন পৃথিবীর মাটি ফুঁড়ে উপছে পড়ছে চাঁদ তারাদের বিলাসিতার সঙ্গম
কাল্পনিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রতিচ্ছায়া আর নির্বাক পৃথিবী – অকল্পনীয় মন্ত্র মুগ্ধতা
সবটাই চলমান- ফুলের স্তবকের মতন সুন্দর লাগে নিথর মৃত পাথরকেও
প্রথম স্তবকটা লিখেছিলাম-
বিস্মৃতির পথে হারিয়ে যাওয়া আমার ডানা কাটা পাখনার খোঁজে
পড়ে যে অস্পষ্ট ফলপ্রসূ অক্ষরগুলো নিজের থেকে বেরিয়ে আসে –
তারা নিজেদের রাস্তা নিজেরাই বের করে নেয়-
বিশুদ্ধ লাইন তারা তবু এখনও একটা কিন্তু - সারবস্তু এখনও মধ্যযুগীয় রহস্য
উন্মোচিত হৃদয় শুধু বাসা বাঁধতে চায় নিশ্চল শব্দের মাঝে...।।





“লোভী”

আমি ভীষণ লোভী
আমার খোলা জানালা বেয়ে নেমে এলো
আকাশ ভেঙে সোনালি রোদ্দুর
ঘিরে রেখেছে নিস্তব্ধতা –কোলাহলের আড়ালে
বেশ গুছিয়ে গল্প লিখি – কবিতা লিখি- গান বাঁধি,পাতা ভর্তি করে
মন খুলে-
মিথ্যে দিয়ে ঘিরে রাখি অক্ষমতা
বিষাক্ত নিঃশ্বাস ফেলে মিথ্যের মাঝে জীবন খোঁজো
ছায়া সঙ্গী ভেবে যাকেই সাথে নি – ছুঁয়ে দেখি শুধুই অবয়েব
আয়নায় ছায়া যে পড়ে – রোদের আলোয় –
মন আস্বস্থ করে - ভালবাসার
জ্বলছে শরীর বিষাক্ত রোদের আদরে
অমাবস্যা, পূর্ণিমা এক রোখা – গ্রাস করবে আমার সোনা রোদকে
গলিয়ে পুড়িয়ে দেবে তার দেহ –অবিশ্বাসে
মস্তিষ্কের ওপর ভাঁজ পড়ে – সীমান্ত বিশাল বিস্তারিত
ঝিমিয়ে পরা শিরা উপশিরাগুলো চোখ খোলে রোদের আদরে
চাদরে জড়ানো মেঘ এবার প্রকাশ্যে এসে – কেড়ে নিল আমার সোনালি রোদের আদরকে
অপেক্ষায় ছিলাম ছিঁড়েখুঁড়ে খাওয়া রক্তাক্ত অবয়েব নিয়ে
ভেবেছিলাম সোনালি রোদের ভালবাসায় “মানুষ হবো” –
মানুষ আর হয়ে ওঠা হল না-



কলকাতা ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন