সোনালী পুপু








আগুন পদ্ম 

ব্যথা, দুঃখ, ক্ষোভের সাগর
মেয়ে মানুষ জানে।
সেই আগুনকে চোখের জলেই
ডোবায় চোরা টানে।
লুকিয়ে কান্না ভাঁড়ার ঘরে
লুকিয়ে কান্না ঘাটে ।
এঁটো বাসন, রুক্ষ চুলে
কান্না আঁচড় কাটে।
সবটা আগুন শুষে নিয়ে
উঠল মাথা তুলে
শক্ত ডাঁটি ,
ফুটল কোরক,
জ্বলল আগুন ফুলের।
সরোজ মানে আগুন-পদ্ম
মেয়ে- মানুষ নয়।
হার মানে না মারের কাছে
ভয়কে করে জয়;
অনাহারকে হেলায় হারায়,
বিষকে ধরে পেটে।
সন্তানদের ছিনিয়ে আনে
মৃত্যুর জাল কেটে।
আগুন ঝরে পদ্ম-চোখে ,
“মেয়ে মানুষ” নয়
কন্যাকে সে “মানুষ”করবে;
সেই খানে তার জয়।
মুচড়ে ভাঙে সমাজ তাকে।
ছিঁড়তে থাকে পাতা।
জ্বলতে জ্বলতে সর্বজয়া
আবার ওঠায় মাথা।
লড়াইয়ে ক্ষয় নরম শরীর ।
আগুন শোষে ত্বক ।
কোটরে যায় পদ্মআঁখি;
আগুনে ধ্বক ধ্বক
জ্বালিয়ে রাখে মনের আলো।
শিরদাঁড়া রয় সোজা।
একাহারী ,স্বপাক আহার,
কারর সে নয় বোঝা।
পার হয়ে যায় সময়- বেলা
বাড়ে গাছের চারা।
সরোজিনীর কোলের মেয়ে,
মানুষ হোল তারা।
অবাক হল কোলকাতা
সেই আজব প্রদীপ দেখে।
নিজের হাতের সুতোর সাড়ি,
আঁচল শরীর ঢেকে।
ফেয়ারলি প্লেস চমকে দ্যাখে
“মেয়ে” ত নয় ,মানুষ?
রং মেখে সে হয়নি খেলো,
নয় ভীরুতার ফানুস।
রণচণ্ডী ,ধারালো চোখ
অফিস-বাবু মেয়ে।
আগুন পদ্ম প্রদীপ হল
সময় সোপান বেয়ে।
দেখলও সমাজ, দেখল শহর
জ্বলন্ত সেই শিখা;
হাজার মেয়ে “মানুষ” করতে
অগ্নি দীপালিকা।

নিউইয়র্ক ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.