
খুঁজে পাওয়া
বিমুগ্ধ বিস্ময়ে সাজানো পুতুল দেখছিলাম
বর -কণে ,রাজপুত্তুর কতো কি !!
চকিতে খেয়াল করি একলা আমি
বাবা নেই ।সেই পড়ন্ত বিকেলে এসেছিলেম মেলায়,
এখন রাত ছুঁই ছুঁই সন্ধ্যে মিলিয়েছে।. হায়! আমি
হারিয়ে গেছি জনারণ্যে চিৎকার করি সাড়া নেই ।
কিছু কৌতূহলী মানুষ জানতে চায় ঠিকানা
চুপ করে সামনে এগোই
ভয়ে রক্ত হীম, দুচোখে বন্যা ঢাল।
হাতটি বাড়ায় অমিত,ভয় বলে নেই এসো
আদরে মুছিয়ে দেয় জল ।
পাড়ার দামাল ,এই ছেলেটাকে সহ্যই হতনা
আজ সেই-ই যে ত্রানকর্তা ; সেতুবন্ধন
আমাদের নির্ভরতা।
মোহনীয় একমুঠো স্বপ্নের ঘোরে হাঁটি
আমরা আঁধারের নির্জনতা ভেদ করে ।
অমিত বলে এস কিছু খাই ,
ভাবি ওকি অন্তর্যামী !!
লোকেরা অবাক চোখে দেখে দুজন কিশোর -কিশোরী
নিশুতি রাতে একা। পঞ্চমীর ক্ষীণ জ্যোৎস্নায়
মেঠো পথে ছমছমে নীরবতা অধীর ব্যাকুলতায়
ওর হাত ধরি
দিঘল রাত্রি ,হেঁটে চলি নিসর্গের সাথে ।
বাড়ীতে তখন উতরোল কান্না ...
পাড়াময় রব আমি হারিয়ে গেছি মেলায় ।
অবশেষে
একরাত্রির অবিমিশ্রিত কথকথা শেষে
ভোরে এসে দাড়াই দরজায়
স্বজনেরা ভিড় করে আসে ।
অমিত দাঁড়িয়ে ওদিকে যেন ঘৃণ্য কোন জীব !
কে যেন এসে বললেন
এই ছেলেটি এখানো এখানে ? ভাগ এখনই ।
আমি শক্ত করে ওর হাত ধরি
যেন কোনোদিন না হারাই দুজনে
এই জনাকীর্ন লোকারন্য কিংবা আরজনমে ।
ঢাকা ।
কি অসাধারণ লিখেছ গো ! চোখে জল আসে; মন ভরে যায় ভালোবাসায়। অপূর্ব লিখেছ কবি ফারহানা! এইভাবেই লিখে যাও অবিরাম।
উত্তরমুছুনআমি শক্ত করে ওর হাত ধরি
উত্তরমুছুনযেন কোনোদিন না হারাই দুজনে
এই জনাকীর্ন লোকারন্য কিংবা আরজনমে
ভালোবাসা তো এমন ই
ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন