আসমা অধরা









মানুষ নয়, বাদামের খোসা

আজ বাতাসটা বড় বেশীই বাউল,
রয়ে রয়ে বাতাসে ছড়ায় শীত।
সকাল থেকে হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত, অবসন্ন পা দু'টো অব্দি
সমর্পিত হতে চায় ক্ষমায় ।
তবুও আমি মাড়িয়ে চলি
শুকনো ডাল পালা, পাতা আর,
কিছু ছড়িয়ে থাকা পাখীর পালক ।
দু'হাতে মুঠো করে ধরে থাকা বকুলগুলো
ঘামে ভিজে একাকার ।
ভেজা বকুলের সুগন্ধেও আসে পরিবর্তন,
ছেঁড়া তারে ভাঙ্গা সেতারের যেমন রোদন ।
শেষ বিকেলের কমলা রোদে নুয়ে আসে ক্লান্তি;
অবসন্ন আমি ধপাস করে বসে পড়ি সাইড রোডে,
অসহ্য ব্যাথায় বুঁদ হয়ে থাকে হৃদপিন্ড !
হঠাত্‍ চমকে উঠি কিছু খসখস শব্দে ;
আমায় আমূল অবাক করে দিয়ে কালো পিচের ওপর,
বাতাসে গড়ায় কিছু ভাঙ্গা বাদামের খোসা !!!










অগ্নিগোলক


জমাট শীতে রোদ হয়ে যেও
হয়ে যেও খড়ের আগুন
তোমার ঠোঁটে মেখে রাখো অগ্নি
আমার ছাদ ফুঁড়ে কুঁচো বরফ ঝরে পড়ে
জানালা গলে পেঁজা পেঁজা হীম বাতাস
কুঁকড়ে আছে গালের চামড়াটাও
নিঃসাড় হাতে পায়ে সাড়া নেই জীবনের
একটিবার রোদ হয়েই এসো
গলে যাক তুষার,
উবে যাক হীমবাহ
মেঝে ফুঁড়ে স্ফীত হোক বসন্ত ঝর্ণা
আর ঠোঁটের আগুনে জ্বালবো অগ্নিকুন্ড ।
একটিবার তপ্ত সুর্য হয়েই যাও নাহয়
সে তাপে বেঁচে যাই প্রেমাস্পদ ।




ঢাকা ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.