মৌ দাশগুপ্ত


ছোটগল্প:






“বলাই” বাহুল্য



বিয়ের পনের বছর পরেও বাঁজা অপবাদ ঘুচল না সুরমার। উঠতে বসতে শাশুড়ীর খোঁটা আর যখন সহ্য হল না তখন স্বামী শ্রীনাথের হাতে পায়ে ধরে ওর বড় ননদ কাজলের যমজ ছেলে “কানাই-বলাই” এর মধ্যে থেকে বলাইকে দত্তক নিল সুরমা।
ঘরের মধ্যে শ্রীনাথের অবস্থাই ভাল, বড়লোক শ্বশুরের কল্যাণে প্রোমোটারি করে বেশ দুপয়সার মুখ দেখেছে, অতএব ওর সাথে সুসম্পর্ক রাখতে সবাই আগ্রহী। ছোট ননদ লতারও দুই ছেলে, সেও চেয়েছিল বৌদি যেন তার এক ছেলেকে দত্তক নেয়। কিন্তু শাশুড়ীর ইশারায় শিকে ছিঁড়ল কাজলের ভাগ্যে। সুরমার ছেলে পাওয়া নিয়ে কথা, কিন্তু দুই বোনে একটু মন কষাকষি হয়ে গেল ওর অজান্তেই।

ছেলে পেয়ে সুরমারা স্বামী-স্ত্রী খুশি হলেও, ব্যাপারটা ভাল ভাবে নিল না ছোট নন্দাই আদিনাথ। গ্রামের একমাত্র হাতুড়ে ডাক্তার আদিনাথ আবার এবাড়ির গৃহ-চিকিৎসকও বটে। ফলে ঘরের অনেক গোপন(গুহ্য) কথা ওর জানা। এদিকে শালাজ নন্দাইয়ের সম্পর্কটাও বড় মধুর, তাই ঠাট্টা-ইয়ার্কি চলেই। আদিনাথ একদিন কথায় কথায় জানাল সন্তানহীনতাটা সুরমার দোষ নয়, প্রয়োজনে ও প্রমাণও দিতে পারবে। আদিনাথ লোকটা বড় নাছোড়বান্দা, তাই খানিক ইতস্তত করলেও, নিজের সক্ষমতাটা জেনে নিতে প্রমান যাচাইয়ে রাজী হয়ে গেল সুরমা। তারপর, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সুরমার কোল আলো করে এল সিদ্ধিনাথ। সুরমার ঘরে এখন চাঁদের হাট ...
অন্য খবর?? 
“বলাই” বাহুল্য...


কলকাতা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.