
বর্বরদের জালে বন্দী অধিকার!
বিবেকের চোখে নোনা বর্ষণ
হাজার রকমের প্রচেষ্টায়
থামবে না স্বাধীনতার ক্রন্দন।
মনুষ্য পশুদের জেগেছে রিপু
মূর্ছা গেছে মানবতার দর্শন
ব্যস্ত শহরে! রাজপথের ভিড়ে!
লাঞ্ছিত বোন! চলছে ধর্ষণ!
বর্বরদের জালে বন্দী অধিকার!
চোখে তার বিরাট এক শূন্য
সম্ভ্রমের সাথে জীবন যায় যায়
এই কি ছিল পুনর্জন্মের পুণ্য?
বাঁচাতে যদি না পার অস্তিত্ব
কেন দাও মানুষ পরিচয়
আমিই যেন হই শেষ শিকার
জনপদ থেকে দূর কর সংশয়।
একটি মর্মস্পর্শী সংবাদের জন্য
গৌরবের ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মাস
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস, দেশ বিজয়ের উল্লাস
এ মাসে হরতাল! কি সাঙ্ঘাতিক সংবাদ
মুক্তিযোদ্ধার চরম অবমাননা
এরাই ঠুকরে খাবে লাল সবুজের পতাকা
কদিন আগে এ ছিল সংবাদপত্রের শিরোনাম।
টক শোর পুনঃপ্রচারে কথার খৈ ভাজ
ধরা যাবেনা বলা যাবে না কথা
ভোট ভাতের অধিকার রাজাকারের সূত্রে বাঁধা
ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর তিন লক্ষ সম্ভ্রম
সব ভুলে রাজনীতিতে শুরু হয় ক্ষমতার উৎসব ।
আচ্ছা, এ মাসে মানুষ হত্যাতে আছে কি কোন বাঁধা
প্রকাশ্যে দিবালোকে মিছিলের উৎসবে
দেখ চকচকে নাঙ্গা ধারালো ছুড়ি
কেমন করে কোপায় নিরীহ মানুষ
দেখ বাংলাদেশ অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়
ভাল করে দেখ, পোশাক ধারীরা কেমন নির্বিকার
তাদের টুপিতে স্পষ্টাক্ষরে লেখা বাংলাদেশ
হাতে জানমালের রক্ষাকবচ। কর্তব্য তথৈবচ!
সংবাদকর্মীদের কি নিখুঁত চিত্রগ্রহণ।
যেন চলছে মারদাঙ্গা ছায়াছবির দৃশ্য ধারণ
বাণিজ্যকরনের জন্য চাই ভিডিও ফুটেজ।
বিস্মিত হয় বিবেক!
একটি মর্মস্পর্শী সংবাদের জন্য মৃত্যুই ছিল জরুরী
কি বীভৎস! কত নতজানু আমরা
ওরা সোনার ছেলে তাই ধরতে ছোঁতে মানা ।
এখন যৌবন যার! কি করার আছে তার
স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা এখন কি মৌলিক দাবী
এ প্রশ্ন বিবেকের দুয়ারে দুয়ারে ঘূর্ণায়মান।
আমাকে ক্ষমা করো না বিশ্বজিৎ
নির্লজ্জের মত উসকে দেয়া আগুন দেখেছি,
পোশাক পরা লোকদের কর্তব্যের অবহেলা দেখেছি
আমি দাড়িয়ে দড়িয়ে তোমার হত্যা দেখেছি
বেঁচে থাকব বলে আমার আমিকে জড়াই নি
তোমাকে উদ্ধারে এগিয়ে যাই নি দু’কদম
আর সবাইকে দর্শক করে রেখেছি।
উচ্চ আদালতে এদের বিরুদ্ধে নালিশ করিনি
অধিকার প্রয়োগে ছিলাম নির্বিকার
ইতিহাসও আমাকে ক্ষমা করবে না
তুমিও ক্ষমা করো না বিশ্বজিৎ দাস।
ঢাকা ।
সুচিন্তিত মতামত দিন