সেলিম রেজা







অষ্টাদশী কিশোরী

জমেছিল অন্তঃপুরে বেদনার কিছু মেঘ
দুঃস্বপ্নের ভেতরে হাঁটে অষ্টাদশী এক কিশোরী।
যার তরতাজা যৌবনের বুকে বিঁধেছে শূল
নিতম্বে সজারুর কাঁটার আঘাত,
স্তনের বোঁটা ছিঁড়েছে বেগানা পুরুষ
জঙ্গা বেয়ে যোনি পথে রক্তক্ষরণ ।
সম্ভোগের নেশায় চলে সম্ভ্রম হরণের পালা
মধ্যযুগীয় বর্বরতাও হার মানে দিনেদুপরে
হো হো হাসিতে কোমর বেঁধে সাঁতার কাটে
অজানা-অচেনা কিশোরীর সুনসান দিঘীতে ।
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার ভেসে আসে কানে
রঙ বেরঙের মেজাজে নাদান, মুখোশধারী জারজ
কৃমিকীট, জল্লাদী চেহারার লোলুপ দৃষ্টি
উল্লাসে মদমত্ত বর্বরেরা হেঁটে চলে বীরদর্পে
সভ্য সমাজের মুখে এক দলা থুথু ছুঁড়ে
ধর্ষিতা কিশোরী দহন জ্বালায় ক্লান্ত পায়ে
হেঁটে চলে অন্ধকার গলি ধরে-
পথ পথিকের উদ্‌ভ্রান্ত পথিকের মতো
ঘুমের ঘোরে এখনো শুনতে পায় এ তল্লাটে
যৌবন হারানোর বেদনায় অষ্টাদশী কিশোরীর গোঙানি।

( নয়া দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার তরুণীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধাঞ্জলী )




সময়ের পিঠে ছুরিকাঘাত 


সুশীল সমাজ হুমকির মুখে
দুরুদুরু বুকে, ভয়কাতর পাঁজরে
বিনিঃশেষের পথে ইতিহাস-অস্তিত্ব।
হত্যা-ধর্ষণ-লুন্টনে নরককুণ্ডের বাসিন্দা
কাঁকড়ার মতো আঁকড়ে ধরে
বিবেক, প্রতিভা আর সভ্যতাকে।
প্রতিষ্ঠার সিঁড়ি ডিঙ্গাতে গেলেই
সময়ের পিঠে ছুরিকাঘাত
স্বাধীন উপত্যকায় জন্মেছে
ঝঞ্জাল-আগাছা, সুপ্ত ভ্রুণে অবিনাশী কীট
স্বপ্নের বাগানে ভূত পেতনীর বসবাস।
সময় নিজ গতিতে এগোয়
নরাধম মুখোশধারী জারজ
সময়ের চোখে কালো পর্দা এঁটে
দু’হাত রাঙায় লাল রক্তে।
ক্ষত-বিক্ষত দেহ যন্ত্রনায় ছটফট করে
জীবনের আয়ু নিঃশেষ হয়,
দুঃখ- লজ্জা অভিমানে
মুখ লুকোয় একবিংশ শতাব্দীর অসহায় নাগরিক।



কুয়েত ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.