
“ শপথ আত্মার সান্নিধ্যে ”
অনেকদিন পর সুন্দর একটা সকাল দিলে দিশা
বৃষ্টি ভেজা সুন্দর সকাল
তোমার ভেজা চুলে গড়িয়ে পড়া বৃষ্টি
উজ্জ্বল চোখে দুষ্টুমির পাগল নেশা
মুক্ত ছড়ানো হাসির ফুলকি আর
সাধারন তাঁতের শাড়িতে আজ তুমি অনন্যা !
বাইরের হিমেল হাওয়ায় চুল ওড়ে অবিন্যস্ত
খসে পড়া বুকের আঁচলে মুখ ঢাকে দুষ্টুমি
শারীরিক গন্ধে নেশায় মনমাতাল প্রেম
তাই নিজেকে আজ সমর্পণ করি দ্বিধাহীন-
তোমার কাছে... তোমার হাতে !
প্রিয় দিশা,
এমন এক মিষ্টি সকাল রোজ আসে না কেন
রোজ কেন তোমার হাসিতে মুক্ত ঝরে না
কেন এই মাতাল গন্ধ পাইনা প্রতিদিন
কেন তোমাকে এমন উচ্ছল দেখিনা রোজ ?
এসো দিশা, আজ শপথ করি দু’জনে-
এমন দিন রোজ আনবো আমরা...
আনবো আমাদের অকৃত্তিম ভালোবাসায়
আনবো গভীর মনের সান্নিধ্যে...
আত্মার সান্নিধ্যে... হৃদয়ের কাছাকাছি !!!
“ তুমি কথা রাখনি দিশা ”
তুমি কথা রাখনি দিশা,
বলেছিলাম আর কটা দিন অপেক্ষা করো,
কাজ সেরে দেখা করবো সেই কদম গাছের তলায়;
ফিরে গেলাম হতাশ রক্তাক্ত হৃদয়...
তুমি কথা রাখনি দিশা !
বলেছিলাম –
তোমার ঐ সুন্দর চুল কেটে ফেলো না কোনদিন,
লোকচক্ষুর আড়ালে রেখো হরিণ চোখ,
সারা শরীর ঢেকে রেখো ফুলহাতায়
সূর্যের স্পর্শ চাইনি তোমায় কেউ ছুঁয়ে দেখুক
তবু তুমি কথা রাখনি দিশা !
বলেছিলাম –
আমার জন্য আর একটু অপেক্ষা করো,
পারলে রোজ একটা সুগন্ধি ধুপ জ্বালিও,
আর আমার জন্য একটু প্রার্থনা করো
যেন তোমার কাছে ফিরে আসতে পারি সুস্থ;
কিন্তু তুমি কথা রাখনি দিশা !
আজ আমি হেরে গেলাম বিশ্বাসের কাছে,
হেরে গেলাম অন্ধ ভালোবাসায়,
হেরে গেলাম তোমার রুপের মায়াবী ছলনায়,
হেরে গেলাম মিথ্যার মায়াজালে,
হেরে গেলাম অর্থাভাবে... ভীষণভাবে;
প্রিয় দিশা, শুধু তোমার কাছেই আমি হেরে গেলাম !!!
“ বিচারসভা ”
আমাকে প্রতিহত করে লাভ হবে না আর,
এবার মুক্ত কণ্ঠে বলব সব নির্দ্বিধায়,
তোমরা নির্লিপ্ত থাকলেও –
আমি পারিনা সব মেনে নিতে;
তাই আমার কণ্ঠ রোধ করা যাবে না আর,
বরং তোমরা শোনার জন্য তৈরি হও,
পারলে বসাও বিচারসভা,
আমি আসামী হতে রাজি আছি ;
তার আগে সবাই মিলে –
একটা শক্ত পোক্ত ফাঁসি-কাঠ বানিয়ে ফেলো আমার জন্য !
“ মায়ার ভবিষ্যৎ বাণী ”
আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা...
২১ ডিসেম্বর কি হবে জানি না কিছুই,
দুরু দুরু বুকে সজাগ শঙ্কিত;
মায়ার ভবিষ্যৎ বাণী ছড়িয়ে সর্বত্র,
কি হবে... কি হবে... আশঙ্কা চারিদিক,
তবু তোমাকে হারাতে চাইনা কিছুতেই;
সযত্নে আগলে রাখি বিনিদ্র রজনী...স্বপ্নেও,
আর ঘুমাতে চাইনা বরাদ্দ কয়েকটা দিন,
ভালোবাসার শেষটুকু উজাড় করে দিতে চাই তোমাকেই;
দুচোখ মেলে দেখে যেতে চাই পৃথিবীর শেষ আলোটুকু,
কবিতা খসড়া খোদায় করে যাব পাথরে পাথরে আর
বাড়ীর দেওয়ালে কাঁচা সিমেন্ট পলেস্তরায়;
দুজনের ছবি এঁকে রেখে যাব বাড়ীর চারিদিকে,
আগামী প্রজন্ম খুঁজে পাবে মানব মানবী প্রেম ভালোবাসা;
মাটি খুঁড়লেই উঠে আসবে- হড়প্পা মহেঞ্জদড়ো !!!
“ অনাথ খসড়া ”
সত্যি আমি জানি না তোমাদের পছন্দ অপছন্দ,
শুধু লিখে যাই নিজের মতো সাবলীল,
সেটা কবিতা কিনা তাও জানিনা,
হয়ত মিলে যায় কারো জীবনের সাথে কিংবা
কারো অতীতের কষ্ট চাপা কান্নায়;
কেউ কেউ শুধু LIKE করে চলে যাও নির্মম,
কেউবা উজাড় করো ভালোবাসা অকৃত্তিম;
মিলেমিশে অনুভব আন্তরিকতা প্রবল,
উৎসাহে ভরিয়ে দাও নতুনত্ব আশায়;
সত্যি বলছি-কখনোবা কষ্ট হয় খুব,
লিখতে গিয়ে থমকে গেছি কতবার,
কলমের মুখে রক্ত দেখেছি অবিরাম;
দলা পাকানো খসড়া উপচে পড়া ডাস্টবিন,
তবুও লিখে যাই- চোখের সামনে দেখা বাস্তব কিছু কথা;
লিখে যাই কিছু অভিজ্ঞতা কিছু অনভিজ্ঞতা,
কখনোবা প্রকাশ করি... কখনোবা থেকে
যায় ডাইরিতে কিংবা খসড়া ডাস্টবিনে;
এমন অনেক খসড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে অবহেলায়,
কবিতা নীরবে কাঁদে অনাথ একা একা !!!
“ আবার দেখা হবে নিশ্চয় ”
ফেসবুক পরিচয়... গড়ে ওঠা অফুরান প্রেম
প্রতিদিন নিবিড়... আরও নিবিড় গভীরতা
সময় মেনে ডাইরি উজাড় মন আনচান
অদেখা যেদিন...বাক্যহীন নিষ্প্রাণ সেদিন!
কাল রাত্রে হঠাৎ নেটওয়ার্ক নীরবতা
ইনবক্স প্রেম পাওনি সময় মতো
উধাও সব হৃদয়লিখন... ভুল বোঝাবুঝি
বলে দিলে-‘ব্যস্ত তুমি অন্য কোথাও... অন্য কারো সাথে’
এককথায় ভেস্তে গেলো বিশ্বাস... সব... সবকিছু !
আজ নাকি পৃথিবীর শেষ দিন...
খুব ইচ্ছা ছিল সারাটা দিন থাকবো জড়াজড়ি
অপূর্ণ থেকে গেলো সব ইচ্ছা... মনস্কামনা
দুলছে ধরাতল... কাঁপছে পৃথিবী
তুমি নেই বলে কাঁপছে হৃদয় শারীরিক স্বত্বা !
পৃথিবীর শেষ দিনে আজ বড় একা... ভীষণ একা
দেখি তাই কলমের মুখে রক্তবমি নির্ঘাত
যদি বেঁচে থাকি- দেখা হবে কবিতার পাতায়
ভুলে যেও না- একদিন ছিলাম জীবনে তোমার !!!
“ মনে প্রশ্ন জাগে খুব ”
সেদিন টিভিতে দেখলাম কলকাতা বর্ষশেষের কিছু খণ্ডচিত্র
একদিকে ধর্ষিতার প্লাকার্ড মোমবাতি মিছিল
পুরুষ মহিলার সঙ্গবদ্ধ বিক্ষোভ...মৌনযাত্রা...
আরেকদিকে বিদেশি বর্ষবরণে উদ্দাম হুল্লোড়
পুরুষ মহিলার সঙ্গবদ্ধ নাচ...উত্তাল...বেসামাল !
চোখ আটকে যায় কিছু মেয়ের রুচিহীন কার্যকলাপ,
অশালীন অঙ্গভঙ্গি অসভ্যতা সীমাহীন...
হিল্লোল উন্মত্ততায় শারীরিক আন্দোলন;
মদিরায় আসক্ত টালমাটাল নারী-
অঘটন ঘটে যায় যেকোনো সময় জ্ঞানহীন...
তবু আমরা লজ্জা লুকাতে আঙ্গুল তুলি পুরুষ,
তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করায় নির্বিচার,
কলমের খোঁচায় রক্তাক্ত করি অহরহ;
আবার তাদের নিয়েই বৃহতর আন্দোলনে সামিল !
প্রশ্ন জাগে... মনে প্রশ্ন জাগে অনেক...
সব ধর্ষণের পিছনে কি শুধুই পুরুষ ??
মেয়েদের বুঝি দায় নেই কিছু ??
পুরুষরা কি ধর্ষিত লাঞ্ছিত হয়না সমাজে ??
আইনের মিথ্যে দায় চাপানো হয়না তাদের মাথায় ??
বাধা পৌরুষ... তাই নীরব অহংকারী পুরুষ !
ক’জন ধর্ষিত লাঞ্ছিত পুরুষের পাশে দাঁড়াতে পারে নারী ??
কেন হয়না তাদের নিয়ে এমন বিক্ষোভ সোচ্চার প্রতিবাদ ??
যদি চাইতে পারি সমান অধিকার...কবে হবে সমান অঙ্গীকার??
প্রশ্ন জাগে... মনে প্রশ্ন জাগে খুব !!!

“ আরও একটা স্বাধীনতা দিবস ”
আরও একটা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
আরও একটা ছুটির দিন
আবার কিছু জাতীয় সংগীতে ফিরে পাওয়া পুরানো দিন
বুকের রক্তে আলোড়ন- বন্দে মাতরম !
ক্লাবে ক্লাবে উত্তোলন আজ জাতীয় পতাকা
পতপত পতাকা ওড়ে বাড়ি গাড়ি রেড রোডে
ছোটদের ছুটোছুটি উচ্ছ্বাস চকলেট মিষ্টি
আজ বস্তি ছেলেটার মুখে প্রথম হাসি –
প্যাঁচালো জিলিপির মিষ্টি স্বাদে !
বেশ পতপত ওড়ে জাতীয় পতাকা
নেতা মন্ত্রিদের লোক দেখানো ব্যস্ততা
হুটার সাইরেন ছুটোছুটি কনভয়
প্রসব যন্ত্রণায় মাতৃত্ব লুটিয়ে পড়ে রাস্তায়
পতাকা নাড়ায় ক্ষুধা-তৃষ্ণা কাতর স্কুল পড়ুয়া
মন্ত্রির গাড়ি হুশ করে বেরিয়ে যায় চোখের সামনে বেরসিক !
চলে গেলো ছুটি যাপন আরও একটা স্বাধীনতা দিবস
আবারও অপেক্ষা একটা বছর সেলাম লালকেল্লা
চকোলেট মিষ্টি জিলিপির অপেক্ষা
আরও একবার জাতীয় সংগীতে নিজেকে চাঙ্গা করা
‘‘কদম কদম বাড়ায়ে যা, খুশি কে গীত গাহে যা
ইয়ে জিন্দেগী হেই কউম কী, তু কউম পে লুটায়ে যা’’ !!
জয় হিন্দ !! জয় ভারত !!!
“ আরও কিছু প্রতীক্ষা ”
মনটা একদম ভাল নেই দিশা
কেন তা জানি না
বুকের ভিতরে তোলপাড় করা সব কষ্ট...
অসহ্য অব্যক্ত যন্ত্রণা গুমরে গুমরে ওঠে !
আমার একদম ভাল লাগে না দিশা–
যখন দেখি তোমার গন্ধ কাছে পিঠে নেই কোথাও
তোমার ব্যস্ততা আমাকে দগ্ধ করে
তোমার উচ্চশায় নিপীড়িত হই প্রতিনিয়ত !
যদিও অনেক বলেও তোমাকে ফেরাতে পারিনি
আমার সে ক্ষমতা নেই
তাই বাধ্য হই তোমার কাছে মাথা নোয়াতে
ক্রমশ উচ্চাশার রঙ্গিন স্বপ্নে –
ভালোবাসার রঙ ফিকে হয়ে যায় !
আজ সত্যি আমি ভাল নেই দিশা
ঘরের চারপাশে ছড়ানো সব স্মৃতি
আমাকে বিধ্বস্ত করে প্রতিনিয়ত
কিন্তু তোমার সামনে বলার সাহস নেই !
তাই –
তোমাকে ভুলে যাবার প্রতিজ্ঞা নিয়েও –
ফিরে আসি আরও কিছু প্রতীক্ষা নিয়ে !
“ আরও গভীর নিশীথে ”
আজ আবার খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করেছো পুরানো স্মৃতি,
নিয়ে গেছো অতীতের পাতায়;
হারিয়ে ফেলেছি বলার মতো সব...সবকিছু...
বাকরুদ্ধ... হতবাক... অন্তঃসারশূন্য...
হাতের কাছে নেই কোন প্রমান,
যদিও তোমাকে বোঝানর দায়বদ্ধতা নেই একটুও;
তবু কেন পারিনা নিজেকে ক্ষমা করতে ?
কেন মন চাই জবাবদিহি ?
নিজের বিছানা, প্রিয় পাশবালিশ, সুগন্ধি ঘর...
কেমন যেন অচেনা আঁতুড়ঘর;
চারপাশে ছড়ানো বই... কবিতার খাতা...
কালো অক্ষরে লেখাগুলো- কেমন যেন হিজিবিজি
অচেনা সকাল... দিন... রাত্রি...
হুতুমের কর্কশ ডাক...
নিকষ গাড় অন্ধকার...
ডুবে যাই গভীরে...আরও গভীর নিশীথে;
প্রিয় আশ্রয় খুঁজি একান্ত কবিতায় !!!
“ এসো মন, মুক্ত বিহঙ্গ হই ”
এসো মন,
আজ আমরা এক অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলি
অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাই
আজ তোমারও কেও নেই... আমারও...
এসো আজ দুজনে এক হয়ে যাই !
সমাজ যা ভাবে ভাবুক
আমরা বরং নিঃসঙ্গতা কাটাই
দুনিয়া হাসে হাসুক...
আমরা বরং কান্না মুছে ফেলি !
এই তো বেশ আছি...
কারও তাবেদারি নেই... রক্তচক্ষু নেই
স্বাধীনতা হীনতাই ভুগেছি অনেক...
তাই নিজের মত করে পাওয়া বেশ লাগে
চলো, আজ তোমাকে আদরে চুম্বনে ভরিয়ে দি !
এসো মন,
আজ আমরা খোলা আকশের নিচে শুয়ে থাকি
ঝরা পাতার সংগীতে হারিয়ে যাই
উন্মুক্ত নদীর কাছে উলঙ্গ হই
নিজেদের সৌন্দর্য পরখ করি অবলীলায় !
এসো মন,
আজ আমরা হারিয়ে যাই-
যেদিকে খুশি যখন খুশি
আজ বরং আমরা -
স্বাধীনতার আনন্দে মুক্ত বিহঙ্গ হই !
“ জানা অজানার দন্ধ ”
এই জগতে বন্ধু অনেক,
শত্রু থাকলেও, জানিনা ঠিক ;
আছে অনেক আপনজন,
সঠিক আপন, জানিনা ঠিক;
আছে অনেক অনুরাগী ,
ক’জন রাগী, জানিনা ঠিক ;
ভালো তো বাসে অনেকেই ;
বাসেনা ক’জন, জানিনা ঠিক ;
অনেকেই করে প্রেম নিবেদন ,
সঠিক প্রেম, বুঝি না ঠিক ;
জানা অজানার দন্ধ অনেক ,
তবু লিখি কবিতা হরেক ;
হাতড়ে বেড়াই বন্ধু তোমায় ,
পারলে এসো, জড়াও গলায় !!!
“ জীবন যেখানে ”
জীবনের কোন এক প্রান্তে তোমাদের কথা মনে পড়বে খুব ,
কিংবা সেই বন্ধুর কথা-
যে আমাকে উৎসাহ দিয়ে এনেছিল এখানে ,
আজ হয়ত সে ব্যস্ত খুব কাজে,
জানি সেও ভুলবে না কোনদিন... ;
মনে পড়বে সেই সব বন্ধুদের কথা-
যারা সবসময় পাশে থাকে সুখ দুঃখে সামিল ,
সঙ্গে আছে আপন হয়ে চিরতরে নির্মল !
ভেবো না বন্ধু...
তোমাদের জন্য রেখে যাব কবিতাগুচ্ছ এক ,
রেখে যাব হাসি কান্না সুখ দুঃখ ভালোবাসা ,
রেখে যাব রাগ অভিমান বিদ্রোহের গল্পকথা ;
যদি মনে পড়ে কোন এক নির্জন একাকী বেলায়-
আমাকে খুঁজে নিও কবিতার পাতায় !
জীবনের শেষ প্রান্তে নতুন কিছু লেখার ইচ্ছা হবে হয়ত ,
তখন লিখব সব গল্প, উপন্যাস আর কবিতার বই ;
আমার কবিতার ঘরে সেজে উঠবে তারা আপন হয়ে ,
দু’চোখ ভরে তাই দেখতে দেখতে-
একদিন ঝাপসা হবে সবকিছু...
ঝাপসা হব আমিও...চলে যাব অজানা দূর দিগন্তে ;
মিটি মিটি হাসবো আকাশের তারা হয়ে !!!
“ দামিনী চলে গেলো ”
দামিনীর অকাল মৃত্যুতে লুণ্ঠিত সব কল্পনা,
অজানা ভয় গ্রাস করে স্বপ্ন দেখা;
ট্রাম বাস রাস্তায় মুখ বুজে চলা নীরব,
অশালীন ভাষা টিটকিরি অঙ্গভঙ্গি রকবাজ !
তবু সব মেনে নেওয়া আর মানিয়া নেওয়া,
দেখেও না দেখা ভদ্র মানুষের দল;
পাশ কাটিয়ে চলে যায় ভিতু সমাজ,
নিজে বাঁচা যথেষ্ট মানসিকতা;
এ কোন দেশের নাগরিক আমরা ??
তাই অনুরোধ –
আর শখের মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিল করো না,
ট্রেন রাস্তা জ্যাম করে বিপ্লব দেখিও না,
খেটে খাওয়া মানুষের রুজিতে টান মেরো না নেতা;
পৃথিবী বেঁচে গেলো ২০১২... ধ্বংস মানবিকতা !
সরব প্রতিবাদ ভুলে মুখ লুকাও অন্তরাল,
শুধু মৌন মিছিলে হেঁটে যাও আজীবন... তবু
পারলে নিজের বেড়ে ওঠা মেয়েটার দিকে দ্যাখো;
ওখানেই খুঁজে পাবে ভবিষ্যতের দামিনী !!!
“ রাখী পূর্ণিমা ”
একগাছা রাখী নিয়ে আজ ঘুরেছি পথে পথে
পয়সা বাঁচিয়ে কিনেছি একপ্যাকেট মিষ্টি চকলেট
বস্তির ভাইবোনের হাতে পরিয়েছি লাল সুতো
হৃদয়ের বন্ধনে আজ সান্ত্বনা নিজেকে !
যদিও ঐ উলঙ্গ ভাই-টার গায়ে জামা দিতে পারিনি আজ
লাল সুতোর বন্ধনেই সে খুশি
একরাশ বিস্ময়ে চেয়ে থাকে রাখী
চকলেটে অপার কৃতজ্ঞতা !
এইভাবে হাজার হাজার রাখী-হীন ভাইবোন
বস্তির আনাচে কানাচে হাতড়ায় খাবার
অন্ধ গলির ভিতর ঢাকে শরীরী লজ্জা
খুঁজে বেড়ায় লুকিয়ে থাকা অন্ধকার ছাদ !
সন্ধ্যার পর বেরিয়ে আসে ক্ষুধার্ত নগ্ন শরীর
খুঁজে বেড়ায় পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট খাবার
পা মাড়িয়ে চলে যায় লাল সুতো রাখী
কিংবা খেলার ছলে কুড়িয়ে রাখে খেলনা
আজ রাখীর সাথে পূর্ণিমাও ঢলে পড়ে ঐ দূর আকাশে !!!
দেরাদুন , উত্তরাখণ্ড ।
পর্ণা
উত্তরমুছুনতোর কবিতা পরে তো আমি মুগ্ধ ৷ আর কী বলবো ৷ লিখে যা ৷ অনেকটাই এগিয়েছিস ৷ আমার আশা, শীঘ্রই তোর নাম ছড়িয়ে পরবে দেশ জুড়ে ৷
কাকু
অনেক ধন্যবাদ কাকু, আন্তরিক ভালবাসা। এইভাবেই সঙ্গে থেকো।
উত্তরমুছুনঅনেক অনেক শুভ কামনা রইলো তোমার জন্য পর্ণা
উত্তরমুছুনঅনেক ধন্যবাদ অনন্যা। এখানে এসে ব্লগে মন্তব্য করার জন্য। মোবাইল থেকে অনেকেই মন্তব্য করতে পারছে না। তুমি কিভাবে করো, আমাকে একটু জানাবে ইনবক্সে।
উত্তরমুছুনব্লগে এসে যারা আমার লেখা পড়েছেন ও মন্তব্য করেছেন- সকলকেই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এইভাবে সঙ্গে থাকুন সবাই।
উত্তরমুছুনএকসঙ্গে অনেক গুলি লেখা । বেশ কিছু লেখা নজড় কাড়া। একক কবিতা'য় কবির বিভিন্ন দৃষ্টি কোন কে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ শব্দের মিছিল ।
উত্তরমুছুনমল্লিকা ম্যাডাম, ব্লগে এসে আমার কবিতাগুচ্ছ পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
উত্তরমুছুনসুচিন্তিত মতামত দিন