এ বি এম সোহেল রশিদ









তামাসার পেয়ালায় পিপাসা নিবারণ!

অস্পৃশ্য সৌন্দর্যের কামুক হাতছানি
আপন স্বত্বাকে উদ্ভাসিত করার ষড়যন্ত্র!
আড়ালে গুটিয়ে থাকার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
অযুত নিযুত ভালবাসায় চিড়াচ্যাপটা জীবন
প্রত্যাশিত আলোকচ্ছটায় সজীব ভবিষ্যৎ
আস্থার কণ্ঠে আনন্দ সুর! ভৈরবী রাগ!

চরকা বুড়ির অবিরাম সুতো কাটা আর
স্বাবলম্বী জন্তুর জাবর কাটা জীবন
চেনাপথে সমান্তরালে হেঁটে যাবে কতদূর!

শূন্যতাকে ছোঁব বলে বাড়িয়েছি অদৃশ্য হাত
অনল নিঃশ্বাসে দগ্ধ করিনি বিশ্বাসের মিথ
ফোঁটা ফোঁটা নোনা অশ্রুতে অথৈ নদী!

ফেরাও চোখ!দেখ জলছায়ায় সেই প্রতিচ্ছবি!
যেমনটি ছিল ছেড়ে আসা গতকাল!
বর্তমান ডিঙ্গিয়ে তাই এখন আগামীকাল!
ব্যথার ত্রিতালে জীবনের অব্যক্ত সুর
অনুপমা কিংবা নিরুপমা এ নয় বিচার্য
শুনতে চাই সুখ প্রহরের সেই ঘণ্টা!
পাপপুণ্যের মনস্তাপে পূর্ণ গোপন পাত্র
বৈরী বসন্তে চোখে বাঁধভাঙ্গা স্রোত
অদ্ভুত! তামাসার পেয়ালায় পিপাসা নিবারণ!
তোমার কবিতা প্রসবের যন্ত্রণায় নীল হয়ে যাই
প্রসব যন্ত্রণা সংক্রমিত হয় কলমে , মস্তিষ্কে
শব্দভাণ্ডারে চালাই তাণ্ডব! খুঁজি স্বীয় স্বত্বা!
নদীর ভিতর সাতার কাটে একলা মাছ!
তুলে ঢেউ!খুঁজি সুখ! বাড়ে আত্মবিশ্বাস!
সংকুচিত হয় অপমান অভিমানের ব্যবধান!
কপালে জয় তিলক শরীরে আকাশের আবরণ
সবুজে উদ্ভাসিত অরণ্য!বাঁকে বাঁকে শিহরণ
কবিতায় খুঁজি নিমন্ত্রণ!লিখে দাও এক কলম!
রুদ্র দিনের দাবানলে কষ্টরা পুড়ে ছারখার
হাহাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড!
শূন্য দিয়ে শূন্যকে বেধেছি!থামাও ক্রন্দন।


ঢাকা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন