
আমি মৃত বিশ্বজিৎ বলছি -
মা,কেমন আছ ? এখনো কাঁদছো ? তুমি জানো না-
সোনার বাংলা ভরে গেছে “সোনার সন্ত্রাসীতে”
বিশ্বজিৎরা জন্ম নেয় নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হতে।
বিভেষিকার আগুনে কে করবে বল প্রতিবাদ ,
কার এত বড় বুকের পাটা পোড়াবে দুই হাত।
মা,আর কেদনা। কেঁদে কি হবে ?
গণতন্ত্র সেতো হরতালে, ধর্ষণে, বর্জনে লাঞ্ছিত
ঘাতকেরা আমার রক্ত দিয়ে উৎসব করে পালিত।
বিধস্ত সভ্যতা ,ব্যভিচারের ধ্বংসস্তূপ চারদিকে
হত্যাকারীরা পার পেয়ে যাবে দুর্বল আইনের ফাঁকে।
মা,এখনো কাঁদছো ! কান্না থামাও।
আইনের শাসন, সেতো সংবিধানে লেখা কেবল
বর্জুয়া শ্রেণী ভাবে বিশ্বজিৎরা সব অপদার্থ,পাগল।
ভগবানও আজকাল বুঝি থাকে গুলশান বারিধারায়
বিশ্বজিৎরা ধুকে ধুকে মরে এই দরিদ্র পাড়ায়।
মা, চোখ মুছো, আর কেদনা ।
সেকি, ঔষধটা খাওনি ,পরে আছে ঘরের কোনায় ,
শাড়ীর আচলটা ছেঁড়া রিফু করে নিও দর্জি খানায়।
তুমি দেখ,একদিন রক্তের হোলিখেলা যাবে ক্ষয়ে
নতুন কোন বিশ্বজিৎ জন্ম নেবে সূর্য সেন হয়ে ।
নিউজার্সি (USA) থেকে।
সুচিন্তিত মতামত দিন