রত্নদীপা দে ঘোষ







চিঠিতৃষ্ণা


তিনটের বৃক্ষবাক্সে চিঠি ঢেলে যায় পিওন
গৃহবাসী হবার আশায় আমি জ্যোৎস্নাভুক
সেই অবসরে বেগবান শাখাপ্রশাখায় ধেয়ে আসে চিঠিপতঙ্গ , যেন বৈদ্যুতিন কিন্নরী অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন একটি পাখিও খুঁজে পাইনা
যে আমার হাতে তুলে দেবে অক্ষরশব্দসমেত সৌভাগ্যশাঁখ
আকাশে একখানাও প্রজননক্ষমতাযুক্ত মেঘ নেই যে ফানুস ওড়াতে ওড়াতে ছুঁয়ে দেবে
আমার জলসত্রচিবুক
চিঠির গা গতরে কতো রঙের জ্বর
ধূমপায়ি পাখিদের হাঁকডাকময় তর্জনী ছুঁয়ে যায় নৈঋত ।
আমি নশ্বর থাকি ... দূতাবাসে
আর দীনহীন ভ্রূণের মতো
আমার অন্তর পাকস্থলীর খালি গাছতৃষ্ণা পায় !
হাতের রেখায় গোলাপ জঙ্গল , খরগোশের খাস দ্যুতি
চিঠির দুই স্তন ফুলে ফেঁপে ওঠে , পরাগন্ধী ব্রা অন্তহীন
ভাষা শিখিনি বলে কোনদিন ছুঁতে পারিনি বিলাসীইস্পাত ।
পথেই পাতার ঝরামোকাম , নিশিপক্ষের বেদুইন মাথা নিচু করে অস্ত দিচ্ছে সূর্য
বুকের জটা খুলছে হিম ...
একঘর অনশন কাঁধে পিওন চিঠি ঢেলে দিচ্ছে বৃক্ষবাক্সে ...

কলকাতা ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

সুচিন্তিত মতামত দিন