
"বৃষ্টিবিন্দুর ভিতর"
কিছু কিছু বৃষ্টিকণায়
আঁকতে চেয়েছি তোমার
সারাৎসার অনিমিখ
মধ্যরাতের বিজন প্রহরে!
যে আলপনায় গর্ভফুলে
ফল ধরে ভালোবাসার
তেমন কোজাগরী বাসনার
নাভিমুলে বৃষ্টির মতো
ঝরাতে চেয়েছি পূর্ণিমার
শ্রাবণ অবিরাম অবিরত!
তোমার রূপদক্ষ দৃষ্টির উজানে নৌকাবাইচে
যারা ব্যস্ত তাদের মিছিল
দেখেছি ঘোর অমানিশির
ঘূর্ণীতে ডুবে যেতে
বিস্মরণের বিস্মৃতিতে!
তাইতো সে পথ আমার নয়!
যে অভিসারে দুটি হৃদয়
স্বর্গ মর্ত্য পাতাল এক করতে
পারে মধ্যরাতের ঘোর চুম্বনে!
সেখানেই ঝরুক দুটি শ্রাবণ!
শরীর থেকে শরীরে উষ্ণ প্রস্রবনের মন মাধুরীর কোজাগরী ঝুলন তিথিতে!
শান্ত সহিষ্ণু; অবিশ্রান্ত বর্ষনেও সিক্ত মৃত্তিকার আনন্দে! সেইখানে তোমার জন্যে আমার হৃদয়!
"আত্মহারা প্রেম!"
তুমিই আমার তন্বী সাকী
মত্ত মদিরা সুরা!
তুমিই আমার প্রেমের ফাগে
এভারেস্টের চূড়া!
তুমিই আমার প্রাণের হাসি
হৃদয় উতরোল!
তুমিই আমার পূর্ণ শশী
জ্যোৎস্না ভরা কোল!
তুমিই আমার বাঁধনহারা
আকাশভরা নীল!
তুমিই আমার ঝর্ণা সখী
নির্ঝর ঝিলমিল!
তুমিই আমার ধ্রুবতারা
সকল পথের দিশা!
তুমিই আমার সকাল ওগো!
আধাঁর কাটা নিশা!
তোমার সুরের ঝর্ণাতলায়
আমার অবসর!
তোমার বুকের দোদুলদোলায়
থাকব জীবনভর!
তোমার তনুর রূপের শ্রীতে
আমার অহংকার!
তোমার মদির চুম্বনেতে
ভাসব বারংবার!
তোমার দুঃখ সুখের মাঝে
আকুল আমার প্রেম!
তোমার জীবন যৌবনেতে
ভাসিয়েই দিলেম!
তোমার অভিমানী বীণায়
বাজলে করুণ সুর!
আমার আমি পড়বে ভেঙ্গে!
ব্যাথায় ঝুরঝুর!
বর্ধমান ।
সুচিন্তিত মতামত দিন